সোমবার ● ২৯ অক্টোবর ২০১৮
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » বান্দরবানে পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তিতে পর্যটকরা
বান্দরবানে পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তিতে পর্যটকরা
বান্দরবান প্রতিনিধি :: (১৪ কার্তিক ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩.০১মি) সংসদে পাস হওয়া ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’এর কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ ৮ দফা দাবিতে সারাদেশের মতো বান্দরবানেও পালিত হচ্ছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কর্মবিরতি। সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা দেশব্যাপী ৪৮ ঘন্টার পরিবহন ধর্মঘটে বান্দরবান থেকে কোনো দূরপাল্লার বাস ছাড়েনি। ধর্মঘটের কারণে বান্দরবানে আটকে পড়েছে প্রায় সহ¯্রাধিক পর্যটক। গতকাল (২৮ অক্টোবর) রবিবার ধরে বান্দরবান-চট্রগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখেছে শ্রমিক ফেডারেশনের শ্রমিকরা।ফলে দেশের বিভিন্ন প্রন্ত থেকে বেড়াতে আসা পর্যটকেরা আটকে পড়ে। ঢাকা থেকে গত শনিবার বেড়াতে বান্দরবানে বেড়াতে আসা পর্যটক রিফাত হাসান জানান, পরিবার নিয়ে ঢাকা থেকে বান্দরবানে বেড়াতে এসে ৪৮ ঘন্টার পরিবহন ধর্মঘটে আটকে পড়েছেন তারা। বান্দরবানের নীলগিরিসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঘুরাঘুরি কারায় তাদের টাকা পয়সাও প্রায় শেষের পথে তাই অনিশ্চয়তায় মধ্যে দিন কাটছেন তারা।
বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কসহ অভ্যন্তরে ৭টি উপজেলা সড়কে যানচলাচল বন্ধ থাকার কারণে চলাচলকারী যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। বান্দরবান বাস টার্মিনালে এক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, পরিবহন ধর্মঘটের নামে যাত্রীদের ভোগান্তিতে রেখে বান্দরবান চট্রগ্রামের পুরবী পুর্বানীর বাস ড্রাইভার ও শ্রমিকেরা প্রন্তিকলেকে বন ভোজনের নামে মদ পান করে আনন্দ করছে।
এদিখে বান্দরবানের বিভিন্ন সড়কে ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল ও বিভিন্ন পরিবহন ব্যবহার করে যাত্রীরা গন্তব্যে ছুটছেন। এজন্য তাদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। আজ সোমবার ভোরে বাসষ্টেশনে দেখাযায় বান্দরবান-কেরানীহাট-চট্টগ্রাম সড়কের নিয়মিত বাস পুরবী পুর্বানী টার্মিনালে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বান্দরবান-ঢাকা বাস সার্ভিস সৌদিয়া,এসআলম,শেমলী,সেন্টমার্টিন,দেশ ট্রাবেলস্ সহ কোন বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দাউদুল ইসলাম বলেন, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা দেশব্যাপী ৪৮ ঘন্টার পরিবহন ধর্মঘটের কারণে পর্যটকদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ধর্মঘট প্রত্যাহারের জন্য আলোচনা চলছে। শিগগিরই বান্দরবানের সাথে সারাদেশের অচল অবস্থা কেটে যাবে।