বৃহস্পতিবার ● ১ নভেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » প্রত্যেকে ধর্মীয় নীতি অনুসরন করেই সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে : মহালছড়ি জোন অধিনায়ক
প্রত্যেকে ধর্মীয় নীতি অনুসরন করেই সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে : মহালছড়ি জোন অধিনায়ক
মহালছড়ি প্রতিনিধি :: (১৭ কার্তিক ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৫০মি) খাগড়াছড়ির বিজিতলা এলাকার ক্ষান্তিপুর বন কুঠিরে বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব কঠিন চিবর দান উদযাপন উপলক্ষে মহালছড়ি জোন অধিনায়ক লে: কর্ণেল মুহাম্মদ মোসতাক আহমেদ বিহার পরিদর্শন ও আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। আজ ১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪ ঘটিকার সময় বিজিতলা এলাকার ক্ষান্তিপুর বন কুঠিরে তুলা থেকে সূতা তৈরির মধ্য দিয়ে ২ দিন ব্যাপী কঠিন চিবর দানোৎসব উদযাপন উদ্বোধন উপলক্ষে বিহার পরিদর্শন ও চিবর দান উদযাপন কমিটির আহবায়ক ত্রিশুল চাকমার হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন জোন অধিনায়ক লে: কর্ণেল মুহাম্মদ মোসতাক আহমেদ, পিএসসি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মং সার্কেল (মং রাজা)’র মাতা মাধবী লতা চৌধুরী। আগামীকাল ২ নভেম্বর শুক্রবার ২৪ ঘন্টার মধ্যে তৈরিকৃত চিবর ভিক্ষুসংঘের উদ্দেশ্যে দান করা হবে।
বিহার পরিদর্শনকালে জোন অধিনায়ক বিহারাধ্যক্ষ ও বিহার পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সাথে মত বিনিময় করেন এবং বিহার ও দেশনামঞ্চ পরিদর্শনসহ তুলা থেকে কিভাবে সূতা তৈরি করা যায় তা নিজের হাতে চড়কা ঘুড়িয়ে দেখেন।
ক্ষান্তিপুর বন কুঠিরের বিহারাধ্যক্ষ ও বিহার পরিচালনা কমিটির সাথে আলাপকালে জোন অধিনায়ক বলেন, সেনাবাহিনী সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সকল ধর্মের ধর্মীয় নীতি অনুসরণ করেই সবার সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। বৌদ্ধদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দানীয় উৎসব কঠিন চিবর দানের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা রেখেই বিহার পরিদর্শনের কথা জানান তিনি। প্রত্যেকেই নিজ নিজ ধর্মের ধর্মীয় নীতি অনুসরণ করে সকলকে সম্প্রীতি বজায় রাখার আহবান জানান।
উল্লেখ্য, বৌদ্ধ ধর্মীয় মতে বিশাখার প্রদত্ত রীতিনীতি অনুযায়ী তুলা থেকে সূতা তৈরির ২৪ ঘন্টার মধ্যে বেইন ( কোমর তাঁত) বুনন করে চিবর বানিয়ে ভিক্ষুদের দান করাকেই কঠিন চিবর দান বলা হয়ে থাকে।