শনিবার ● ৩ নভেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » মুক্তাগাছায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত-২
মুক্তাগাছায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত-২
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :: (১৯ কার্তিক ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৫৮মি) ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা ও সদর উপজেলা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আব্দুল্লা হেল কাফি (৩১) ও আলমগীর হোসেন গুতু (২৭) নামে দুই ব্যাক্তি নিহত হয়েছে। নিহত কাফি ফুলবাড়ীয়া উপজেলার আমদালিয়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান ছেলে ও আলমাগীর নগরীর কালিবাড়ী রোডের পুরাতন গুদারাঘাট এলাকার ইব্রাহিমের ছেলে। আলমাগীর মুক্তাগাছা উপজেলার শীর্ষ অস্ত্রধারী ও গুতু সদরের মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন বলে পুলিশ জানায়। নিহত দু’জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, ডাকাতি ও ছিনতাইসহ ৮ টিরও বেশি মামলা রয়েছে। এছাড়াও তারা পুলিশের কাছ থেকে পলাতক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিলেন।
এঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজিম উদ্দিন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. মজিদ, পুলিশ কনস্টেবল ইব্রাহীম, সাইদুল ইসলাম ও আরমান উদ্দিনসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হলে তাদের উদ্ধার করে পুলিশলাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।
আজ শনিবার (৩ নভেম্বর) মধ্যরাত পৌনে ২ টার দিকে মুক্তাগাছার রসুলপুর টু কাঁঠালিয়া ঝলই ব্রীজ ও সদর উপজেলার চরনিলক্ষীয়া ইউনিয়নের সাহেব কাচারী বাজার এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ( ডিবি) অফিসা ইনচার্জ (ওসি-তদন্ত) শাহ মো. কামাল আকন্দ এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,মুক্তাগাছার কাঁঠালিয়া ঝলই ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় কিছু অস্ত্রধারী ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌছালে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতারি গুলি করতে থাকে। তখন পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালানোর এক পর্যায়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়।এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মো. আব্দুল্লা হেল কাফিকে একটি কাঠের বাটযুক্ত এলজি ,২ রাউন্ড গুলি ও কার্তুজসহ আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় এসআই মো. নাজিম উদ্দিন, এএসআই মো. মজিদ-১ কনস্টেবল ইব্রাহিম আহত হয়েছেন বলেও ওসি জানিয়েছেন।
অপরদিকে একইদিন রাত দেড়টার দিকে সদর উপজেলার সাহেব কাচারী বাজার বিসমিল্লাহ হ্যাচারী সংলগ্ন এলাকায় ডিবি পুলিশের ওসির নেতৃত্বে ডিবি’র আরও একটি টিম মাদক বিরোধী অভিযান চালানোর সময় কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের অবস্থান টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে অতর্কিতভাবে গুলি বর্ষণ এবং ঢিল ছুড়তে থাকে।
তখন পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি বর্ষণ করলে মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে মাদক ব্যবসায়ী আলমাগীর নামে একজনকে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় তার কাছ থেকে ২ কেজি গাঁজা ও ২ টি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, পৃথক এ দুটি ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজিম উদ্দিন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. মজিদ, পুলিশ কনস্টেবল ইব্রাহীম, সাইদুল ইসলাম ও আরমান উদ্দিন নামে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশলাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
নিহত দু’জনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় মুক্তাগাছা ও কোতোয়ালী মডেল থানায় পৃথক দু’টি মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ এই কর্মকর্তা।