রবিবার ● ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » হল বন্ধ ঘোষণায় রাবি ছাত্রলীগের প্রশাসন ভবন ঘেরাও
হল বন্ধ ঘোষণায় রাবি ছাত্রলীগের প্রশাসন ভবন ঘেরাও
রাবি প্রতিনিধি :: শীতকালীন অবকাশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) আবাসিক হলসমূহ খোলা রাখার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ৷ রোববার বেলা ১১ টার দিকে সকল আবাসিক হল থেকে ছাত্রলীগের কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে প্রশাসন ভবনের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি নেয় ৷
তবে সকাল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ কর্মসূচি পালন করলেও এখনো এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি ৷ এদিকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি এম মিজানুর রহমান রানা ৷
এসময় বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি, প্রো-ভিসি, কোষাধ্যক্ষ, রেজিষ্ট্রার, ছাত্র উপদেষ্টা, জনসংযোগ দপপ্তরের পশাসক ও প্রক্টরসহ প্রশাসেন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ভবনেই আটকা পড়ে আছে বলে জানা গেছে ৷ এছাড়াও ভবনরে গেটে তালা বদ্ধ করে আন্দোলন করায় বিভাগের ফরম পুরণসহ নানাবিধ কাজ করতে না পারায় বিপাকে পড়েছে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা ৷ ফলে শিক্ষার্থীদের কাজ না করেই ফিরে যেতে দেখা গেছে৷
রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানার উপস্থিতিতে এসময় অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সাইদুল ইসলাম রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক কাউসার আহামেদ কৌশিক, হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মামুনসহ প্রমূখ নেতাকর্মীরা ৷
এসময় তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে বিসিএসসহ অন্যান্য প্রতিযোগিতামুলক পরীক্ষায় ভালো করতে পারে, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো রকম সহযোগিতার পরিবর্তে শীতকালীন ছুটির অজুহাতে হল খালি করে পরীক্ষার্থীদের বিপাকে ফেলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷ বাংলাদেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে কখনো হল বন্ধ রাখা হয় না ৷ অথচ আমাদের এখানে রাজনৈতিক অবস্থা ভালো থাকা সত্বেও প্রতি বছর হল বন্ধা রাখা হয় ৷ যেখানে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা ছুটির সময় হলে অবস্থান করে বাড়তি পড়ালেখা করে ৷ আর তখন আমাদেরকে অনিচ্ছা সত্বেও বাড়ির দিকে রওনা দিতে হয় ৷ সামনে ৮ তারিখে বিসিএস পরীক্ষা ৷ এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ কি বুঝে এ ছুটি ঘোষণা করলো তা আমাদের বুঝে আসে না ৷ তাই যদি আমাদের দাবি মানা না হয় তাহলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব’ ৷
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, রাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান, আতিকুর রহমান সুমন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান পলাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান ইমনসহ বিভিন্ন হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ৷
পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটকসহ বিনোদপুর ও কাজলা গেটে তালা লাগিয়ে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ৷ ফলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো বাহিরে আটকা পড়ায় মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়৷ এসময় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোন যানবাহন বাহিরে যেতে না পারায় জন-জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে ৷