বুধবার ● ৭ নভেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » আলুতলাস্থ ইকোপার্কে হাতেগুনা কয়েকটি পশু পাখি দেখে শিশুরা বিরক্ত
আলুতলাস্থ ইকোপার্কে হাতেগুনা কয়েকটি পশু পাখি দেখে শিশুরা বিরক্ত
সিলেট প্রতিনিধি :: (২৩ কার্তিক ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.০৬মি.) সিলেটে চিড়িয়াখানার আদলে নির্মিত ‘সিলেট বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র’। দর্শনার্থীরা বিভিন্ন পশু পাখি দেখার জন্য শিশুদের নিয়ে ঘুরতে যান টিলাগড় আলুতলাস্থ ইকোপার্ক সিলেট বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রে। কিন্তু বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে হাতেগুনা কয়েকটি পশু পাখি দেখে তাদের বিরক্তির উদ্রেগ হয়। হাতেগোনা কয়েকটি প্রানি যা আনন্দের চেয়ে বিরক্তির সৃষ্টি করে ফলে অনেককেই ফিরে আসেন বিরক্তি নিয়ে।
২ নভেম্বর (শুক্রবার) আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হলো সিলেট চিড়িয়াখানার। শুক্রবার বিকেলে টিলাগড় ইকোপার্কে এ চিড়িয়াখানার উদ্বোধন করেন জাতিসংঘের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে আবুল মোমেন।
উদ্বোধনের দিনই চিড়িয়াখানায় ঢল নামে দর্শনার্থীদের। বিকেল থেকে দলে দলে দর্শনার্থীরা জড়ো হন চিড়িয়াখানায়।
যতটা উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে পরিবার পরিজনকে সাথে নিয়ে চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলেন দর্শনার্থীরা। ঠিক ততখানীই বিরক্তিবোধ ও হতাশা নিয়ে ফিরে আসেন দর্শনার্থীরা।
সিলেট বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রে গত ২৭ অক্টোবর গাজীপুরের সাফারি পার্ক থেকে দুটি জেব্রা, দুটি হরিণ, ১২টি ময়ূর, ১টি গোল্ডেন ফিজেন্ট পাখি, ৩টি সিলভার ফিজেন্ট পাখি, ৩টি ম্যাকাও পাখি, ৪টি আফ্রিকান গ্রে প্যারট, ৪টি সান কানিউর পাখি, ৩০টি লাভ বার্ড ও ১টি অজগর আনা হয়েছে।
এ গুলোর মধ্যে হরিন, অজগর সাপের দেখা পাওয়া কষ্টকর। আর যে দুটি জেব্রা আছে তাও দুরবিক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখা লাগবে এমন মন্তব্য অনেক দর্শনার্থীর। তবে কর্তৃপক্ষ সিলেটবাসী আশার আলো দেখাতে কর্ণপাত করছেনা। তারা বলছেন সিলেট বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রে বর্তমানে ৯ প্রজাতির ৫৮টি প্রাণী। আগামী ডিসেম্বরে মধ্যেই আনা হবে আরো বেশ কয়েক প্রজাতির প্রাণী। তন্মধ্যে বাঘও থাকবে।
গত ২৭ অক্টোবর গাজীপুরের সাফারি পার্ক থেকে সিলেট চিড়িয়াখানায় স্থানান্তর করা হয় ৯ প্রজাতির ৫৮টি প্রাণী।
গোলাপগঞ্জ থেকে আসা এক দর্শনার্থী বলেন, সিলেট চিড়িয়াখানায় শিশুদের নিয়ে গিয়েছিলাম পশু দেখতে। তবে বাঘ, হাতিসহ অন্যান্য পশু না দেখে শিশুরা কান্নাকাটি শুরু করে।
আরেক দর্শনার্থী বলেন, সিলেট চিড়িয়াখানায় আরোও পশু পাখি এনে উদ্বোধন করলে ভাল হত। পর্যাপ্ত পশু পাখি না থাকায় শিশুদের বিরক্তিবোধের উদ্রেগ হয় এবং তারা হতাশ হয়।
সিলেট বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রের ব্যাপারে সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রের জন্য ধাপে ধাপে অনেক প্রানী যোগ হবে। চিড়িয়াখানায় পশু দেখার জন্য সিলেটবাসীর আগ্রহ বেশি তাই ডিসেম্বরে বাঘ, চিত্রল হরিণসহ আরো বেশ কয়েকটি প্রাণী আনা হবে।