শুক্রবার ● ৯ নভেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ থেকে বঞ্চিত গাইবান্ধাবাসী
পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ থেকে বঞ্চিত গাইবান্ধাবাসী
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: উত্তরবঙ্গের প্রবেশমুখ বগুড়ায় পাইপলাইনের মাধ্যমে সর্বশেষ গ্যাস এসেছে ২০০৫ সালে। এরপর গাইবান্ধাসহ উত্তরের রংপুর বিভাগের আর কোনো জেলাতে দেয়া হয়নি গ্যাস সংযোগ। ফলে গ্যাসের অভাবে গাইবান্ধায় গড়ে উঠছে না আশানুরূপ শিল্প-প্রতিষ্ঠান। এতে একদিকে যেমন বাড়ছে না কর্মসংস্থান অপরদিকে দুর্ভোগে আছেন ব্যবসায়ী, সিএনজিচালক ও গৃহিণীরা।
বগুড়া থেকে গাইবান্ধার বুক চিড়ে রংপুর হয়ে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেড পর্যন্ত পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হলেও গাইবান্ধায় পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস বিতরণ থেকে বঞ্চিত গাইবান্ধাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহত্তর রাজশাহী বিভাগে বিতরণের জন্য ১৯৯৯ সালের নভেম্বরে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডকে (পিজিসিএল) পাইপলাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্ট, সিএনজি স্টেশন, শিল্প-বাণিজ্যিক ও গৃহস্থালীতে গ্যাস বিতরণের দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুরে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্র“তি বাস্তবায়নের জন্য বগুড়া থেকে গাইবান্ধার ওপর দিয়ে রংপুর হয়ে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেড পর্যন্ত গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন স্থাপন করা হবে।
এদিকে, পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস বিতরণ না হওয়ায় জেলায় আশানুরূপভাবে গড়ে উঠছে না শিল্প-প্রতিষ্ঠান। ফলে জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নও সাধিত হচ্ছে না। সেইসঙ্গে ঘটছে না শিল্পের বিকাশ। গ্যাস না পাওয়ায় বর্তমানে গাইবান্ধার সাত উপজেলার সহস্রাধিক সিএনজিচালককে বাধ্য হয়ে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন বেড়েছে দুর্ঘটনা।
এছাড়া গৃহস্থালীর রান্নার কাজে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার কিনে গৃহিণীরা ব্যবহার করলেও থেকে যাচ্ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। কেননা দেশের বিভিন্ন স্থানে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে অহরহ। এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গাইবান্ধাবাসী। তাই পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সংযোগের দাবী গাইবান্ধাবাসীর।