বুধবার ● ১৪ নভেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » কৃষি » কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার প্রথমবারের মতো ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের পূর্ণাঙ্গ জীবনরহস্য উন্মোচন করেছে
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার প্রথমবারের মতো ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের পূর্ণাঙ্গ জীবনরহস্য উন্মোচন করেছে
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি ::বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) এবং বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই)একদল গবেষক এবার প্রথমবারের মতো ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের পূর্ণাঙ্গ জীবনরহস্য উন্মোচনে (জিনোম সিকোয়েন্সিং) সফলতা পেয়েছেন। পাট, মহিষ ও ইলিশের পর প্রথমবারের মতো ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের পূর্ণাঙ্গ জীবনরহস্য উন্মোচনে (জিনোম সিকোয়েন্সিং) গবেষকদের এ সফলতা।
মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে বাকৃবি’র ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ জসিমউদ্দিন খান বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের’ এ ঘোষণা দেন ।
বাকৃবি’র পশুপ্রজনন ও কৌলি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এম.এ.এম. ইয়াহিয়া খন্দকারের নেতৃত্বে গবেষক দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ বজলুর রহমান মোল্লা, পশুপ্রজনন ও কৌলি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ সামছুল আলম ভূঁঞা, বিএলআরআইয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আব্দুল জলিল, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. গৌতম কুমার দেব, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ পণির চৌধুরী ও নূরে হাছনি দিশা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান গবেষক ড. এম. এ. এম. ইয়াহিয়া খন্দকার বলেন, ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের পূর্ণাঙ্গ ‘জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের’ ফলে এর খাদ্যাভাস, শারীরিক গঠন, চামড়া ও প্রজননসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর গবেষণার দ্বার উম্মোচিত হলো। সেইসাথে ‘জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের’ মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন, পুষ্টি সরবরাহ বৃদ্ধি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলকে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে এ সময় আরও জানান তিনি।