শনিবার ● ১৭ নভেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » কালের বিবর্তনে বিলুপ্ত ছনের ছাউনি
কালের বিবর্তনে বিলুপ্ত ছনের ছাউনি
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: দিন-দিন কমে যাচ্ছে গ্রাম-গঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ছনের ছাউনির তৈরি ঘর। কিছুদনি আগেও প্রতিটি পাড়া-মহল্লায়, গ্রাম-গঞ্জের সেই চির চেনা ঘরের ছনের ছাউনির প্রচলন দিন দিন কালের গর্ভে হারিয়ে যেতে বসেছে। আধুনিকতার উৎকর্ষতায় বর্তমানে ছনের তৈরি খর বিলুপ্তির পথে বললেই চলে। খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, যেখানে প্রতিটি গ্রাম-গঞ্জের ২-৪ টি ছনের তৈরি ঘর চোখে পড়ত। কিন্তু বর্তমানে কয়েকটি ইউনিয়ন মিলেও সেই সময়ের ছনের তৈরি ঘর চোখে পড়ে না। বর্তমান দিনে টিনের অত্যাধুনিক ব্যবহারের ফলে ছনের ছাউনির তৈরি ঘর বিলুপ্তি হচ্ছে।
গাইবান্ধা সদরসহ উপজেলার গ্রাম-গঞ্জের মাঝে মধ্যে ২/১ টি ছনের ছাউনির ঘর দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, আজ থেকে ২৫-৩০ বছর আগেও গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়ীতে ছনের ছাউনির ঘর ছিল। নিম্নবৃত্তের মানুষ এই ছন দিয়ে ঘরের ছাউনি দিত। তারাই এই ঘরকে গরিবের এসি ধর বলে। উচ্চবৃত্তবানরা শখের বসে কখনও কখনও পাকা ঘরের চিলকোঠায় ছন ব্যবহার করত।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা গিদারী ইউনিয়নের শালু মিয়া বলেন, বছর খানেক আগেও আমাদের বাড়ীর সবকয়েকটি ঘর ছনে ছাউনি ছিল। এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন আর আমাদের বাড়ীতে ছনের ঘর নেই।
এছাড়াও বছর বছর ছন পরিবর্তন করতে হয়। এ কারণে অনেকে ছনের ঘরকে ঝামেলা মনে করে। একারণে ছনের ছাউনির ঘরের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। হারিয়ে যেতে বসেছে বাঙালীদের ঐতিহ্যবাহী এই চিহ্নটি। হয়তো সেই আর বেশি দুরে নয়, যে দিন ছনের ছাউনির ঘরের কথা মানুষের মন থেকে চির তরে হারিয়ে যাবে। আর আগামী নতুন প্রজন্ম রুপকথার গল্পেই এই ঘরকে স্থান দিতে স্বাচন্দবোধ করবে। তবে কেউ কেউ পূর্ব পুরুষদের স্মৃতি ধরে রাখতে অনেকেই ২/১ টা ছনের ছাউনির ঘর টিকিয়ে রেখেছেন। এখন কালের আবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে এই গ্রামীন ঐতিহ্যবাহী ছনের ছাউনির তৈরি ঘর।