সোমবার ● ১৯ নভেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » দিনাজপুর » মধ্যপাড়া পাথর খনির দৈনিক উৎপাদন রেকর্ড ছাড়িয়েছেন জিটিসি
মধ্যপাড়া পাথর খনির দৈনিক উৎপাদন রেকর্ড ছাড়িয়েছেন জিটিসি
পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :: দেশের একমাত্র পাথর খনি দিনাজপুর পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া গ্রানইট মাইনিং কোম্পানী লিঃ হতে তিন শিফটে সর্বোচ্চ পরিমান পাথর উত্তোলন করে পূর্বের সকল রেকর্ড ভেঙ্গেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)।
গত শনিবার তিন শিফটে মোট ৫ হাজার ৭১৬ মেট্রিক টন পাথর উত্তোলনের মাধ্যমে রেকর্ড করেছেন প্রতিষ্ঠানটি। ধারাবাহিক ভাবে নিরলস পরিশ্রমের ফলে জিটিসি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ পরিমান পাথর উত্তোলনের এ রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বর্তমান পাথর উত্তোলন কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জিটিসি’র নির্বাহী পরিচালক জাবেদ সিদ্দকী জানান, দায়িত্বভার গ্রহনের পর থেকে জিটিসি’র উৎপাদিত পাথর খনিটিকে লাভজন করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। খনির নতুন স্টোপ নির্মান করে বিদেশী বিভিন্ন মেশিনারিজ যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ স্থাপনের ফলে খনির পাথর উত্তোলন অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ উত্তোলনকে অব্যাহত রাখতে গুরুত্বের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন অর্ধশতাধিক বিদেশী খনি বিশেষজ্ঞ ও দেশী প্রকৌশলী। সেই সাথে ৭ শতাধিক খনি শ্রমিক তিন শিফটে পাথর উত্তোলনের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। প্রতিমাসে ১ লক্ষ ২০ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলনের লক্ষমাত্রা নিয়ে জিটিসি গত অক্টোবর মাসে প্রায় ১ লক্ষ ২৩ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করেছে। পাথর উৎপাদন লক্ষমাত্রায় পৌছানোর ফলে খনি শ্রমিকদের বিগত মাসগুলোতে বেতন ও ওভার টাইমের সঙ্গে উৎপাদন বোনাসও প্রদান করছে জিটিসি।
খনি সুত্রে জানা গেছে, গত ২০০৭ সালে মধ্যপাড়া পাথর খনি থেকে দৈনিক তিন শিফটে ৫ হাজার ৫ শত মেট্রিক টন পাথর উত্তোলনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করে এর উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করা হয। কিন্তু খনিটি প্রায় ৭ বছর ধরে তিন শিফটে পাথর উত্তোলন কার্যক্রমই শুরু করতে পারেনি। ফলে লোকসানী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়ে খনিটি বন্ধের উপক্রম হয়।
বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার জিটিসি’র সাথে মধ্যপাড়া পাথর খনিটির ব্যবস্থাপনা, রক্ষনাবেক্ষন এবং উৎপাদন চুক্তির পর জিটিসি কর্তৃক পাথর খনির তিন শিফটে দৈনিক ৫ হাজার ৫ শত মেট্রিক টন পাথর উত্তোলনের লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ায় আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়নের অংশীদারে অবদান রাখতে এবং খনিটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে আরো একধাপ এগিয়ে গেল বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মানুষ। খনির বর্তমান উৎপাদন অবস্থা অব্যাহত রাখতে এবং উত্তোরোত্তর উৎপাদন আরো বৃদ্ধি করতে জিটিসি সরকার এবং সরকারের খনি সংশ্লিষ্ট মহলের ইতিবাচক পদক্ষেপ আশা করে বলে এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে।