শিরোনাম:
●   আ.লীগ সরকারের আমলে দখল নেওয়া জমি উদ্ধার করল গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ●   সুরাইয়া বিলকিসের বিষমুক্ত ছাদ বাগান ●   মিরসরাইয়ে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষ্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতা ●   ঈশ্বরগঞ্জে বিজ্ঞান মেলার সমাপনী ●   খাগড়াছড়িতে বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন ●   রাঙামাটিতে ইউপি সচিবদের অবসরকালীন ভাতার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ●   পানছড়িতে লোগাং জোন এর পক্ষে থেকে অনুদান প্রদান ●   নবীগঞ্জে দুশো বছরের ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্টিত ●   থেমে নেই ঈশ্বরগঞ্জ এলজিইডির উন্নয়ন কাজ ●   মিরসরাইয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবদল কর্মী নিহত গ্রেফতার-৪ ●   বৃহত্তর চট্টগ্রাম সমিতি-গাজীপুর এর কমিটি গঠন ●   অন্তর্বর্তী সরকার মাঝেমধ্যে খেই হারিয়ে ফেলছে : সাইফুল হক ●   আরসিটি চূড়ান্ত যাচাই-বাছাই সভা ১৮ জানুয়ারী ●   রাঙামাটির রাজস্থলীতে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান ●   ঈশ্বরগঞ্জে স্কুল শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা ●   শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে পানছড়ি সাব জোন ●   মিরসরাইয়ে ৭৪ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক-১ ●   স্থানীয় সরকার নিয়ে দৌড়াদৌড়ি না করার পরামর্শ ●   আত্রাই ছোট যমুনা নদীর দু’তীরে সবুজের সমারোহ ●   মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন সমাজ কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   বেতবুনিয়া পিএসটিস টিআরসিদের প্রশিক্ষণ সমাপনী ●   রাষ্ট্রীয়ভাবে মাস্টারদাসহ সকল বিপ্লবীদের মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতির দাবি ●   পর্যটন শিল্পকে বিকশিত করার লক্ষ্যে শ্রীমঙ্গলে হারমোনি ফেস্টিভ্যাল শুরু ●   সুনামগঞ্জে সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশন ইতালী শাখার উদ্যোগে কম্বল বিতরণ ●   পানছড়িতে রেড ক্রিসেন্ট এর পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে শহীদ পরিবার ও আহতদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান ●   কাউখালী আল ইসলামিয়া মাদরাসার বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত ●   নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবীতে আশুলিয়াতে সমাবেশ করেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ●   রাঙামাটির লংগদুতে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অভিযান ●   মিরসরাইয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণে সচেতনতামূলক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত
রাঙামাটি, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
মঙ্গলবার ● ২০ নভেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » মানুষের দয়া নাই রে, মায়া নাই রে’ বিশ্বনাথে ভিক্ষুকের আকুতি
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » মানুষের দয়া নাই রে, মায়া নাই রে’ বিশ্বনাথে ভিক্ষুকের আকুতি
মঙ্গলবার ● ২০ নভেম্বর ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মানুষের দয়া নাই রে, মায়া নাই রে’ বিশ্বনাথে ভিক্ষুকের আকুতি

---মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: (৬ অগ্রহায়ন ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.০৪ মি.) ও গেঞ্জি আলা ভাই, ও লাল শার্ট আলা ভাই, ও বোরকা পড়া আপা, ও টাস মোবাইল আলা ভাই, ‘মানুষের দয়া নাই রে, মায়া নাই রে’। এভাবে প্রতিদিন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের বাসিয়া সেতুর ওপর চলাচল করলে হুইল চেয়ার বসা প্রতিবন্ধি ভিক্ষুক যুবকের আকুতি শোনা যায়। তার নাম জাহাঙ্গীর আলম (২৩)। সে সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা থানার শহরতলি গ্রামের মৃত ফেরদৌস মিয়ার ছেলে। সে দীর্ঘদিন ধরে তার মায়ের সঙ্গে বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের টিএন্ডটি রোডে অবস্থিত একটি কলোনীতে বসবাস করে আসছে।

গতকাল সোমবার বিকেলে সরেজমিনে বাসিয়া সেতুর ওপর গিয়ে দেখা যায়, বিশ্বনাথ উপজেলার সদরের প্রাণকেন্দ্র বাসিয়া সেতু। এ সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন শতশত গাড়ি ও হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেন। সেতুর একপাশে উপজেলা সদরের পুরান বাজার ও ওপর পাশে নতুন বাজার। ফলে প্রতিদিনই এ সেতুর ওপর দিয়ে পথচারী-স্কুল-কলেজ-মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীরা চলাচলে করেন। সেতুর মধ্যখানে হুইল চেয়ারে বসা প্রতিবন্ধি ভিক্ষুক জাহাঙ্গীর আলম। সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলকারী পথচারীদের দেখা মাত্রই শুরু হয় তার ভিক্ষার আকুতি। এতে কেউ টাকা দিলে তার জন্য দোয়া করে এবং টাকা না দিলে বলে ‘মানুষের দয়া নাই রে, মায়া নাই রে’। তবে পথচারী নারী-পুরুষ-প্রবাসী অনেকই তাকে নিজ সাধ্যমতে টাকা দিতে দেখা যায়।

সোমবার বিকেলে বাসিয়া সেতুর ওপর প্রতিবন্ধি ভিক্ষুক জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে আলাপকালে সে জানায়, জন্মের পর থেকে সে প্রতিবন্ধি হিসেবে বড় হয়েছে। ছয় বছর বয়স থেকে সে ভিক্ষা করে আসছে। ২০১৭ সালে তার বাবা মারা যান। উপজেলা সদরের একটি কলোনীতে এক হাজার টাকা ভাড়া বাসায় তার মা-ছোট বোন নিয়ে বসবাস করে। প্রতিদিন প্রায় ৩-৪শ টাকা ভিক্ষা করে সে পায়। ওই ভিক্ষার টাকা দিয়েই চলে তার তিন সদস্য পরিবার। তার পা দুটি ব্যঙ্গ হওয়ায় প্রতিদিন সকাল ৯টায় তার মা হুইল চেয়ার করে বাসিয়া সেতুর ওপর থাকে রেখে যান এবং বিকেলে এসে নিয়ে যান। ভিক্ষা করে সে সংসার চালায়। সরকারের কাছ থেকে সে বড় ধরণের আর্থিক সহযোগিতা পেলে ভিক্ষা ছেড়ে দিবে বলে জানায়।

জানাগেছে, প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচত সিলেটের বিশ্বনাথ। এ উপজেলায় ভিক্ষুকের সংখ্যা অন্য এলাকার চেয়ে বেশি। সিলেট বিভাগ তথা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শীত মৌসুম কিংবা রমজান মাসের শুরু, বছরের দুটি ঈদে ভিক্ষুদের উপস্থিত বেড়ে যায়। তারা বিভিন্ন মার্কেটের সামনে কিংবা রাস্তার পাশে বসে থাকে। প্রবাসী কাউকে দেখা মাত্রই দূরে ছুটে যায় ভিক্ষুকরা। এতে অনেকেই বিরক্ত হলেও অনেকেই তাদের টাকা দিয়ে সাহায্য করেন। তবে স্থানীয় ভিক্ষুকদের চেয়ে অন্য থানার ভিক্ষুকরা বেশি। উপজেলা সদরের সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ভিক্ষুকদের আনাগোনা দেখা যায়। এতে মহিলা ভিক্ষুকের সংখ্যা বেশি।

এলাকাবাসী জানান, শীত মৌসুমে এলাকার প্রচুর প্রবাসী দেশে আসেন। ঈদ কিংবা রমজান মাস আসলেই ভিক্ষুকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। সকাল হলেই ঘুম থেকে উঠে দেখা যায় ভিক্ষুরা দরজার সামনে। এসময় তারা তাদের (ভিক্ষুকরা) বিভিন্ন সম্যাসার কথা বলতে থাকে। প্রতিদিন কয়েক শতশত ভিক্ষুক এলাকায় চুষে বেড়ায়। অন্যান্যা এলাকার চেয়ে আমাদের এলাকায় ভিক্ষুকের সংখ্যা অনেক কম। বাসা-বাড়ি ছাড়াও তারা উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ঘুরে বেড়ায়। তবে নিজ নিজ সাধ্য মতে এলাকার মানুষ তাদের টাকা দিয়ে আসছেন। তবে খুব কম ভিক্ষুক খালি হাতে ফিরতে হয়।

এব্যাপারে পথচারী কামাল আহমদ বলেন, প্রতিদিন বাসিয়া সেতুর ওপর হুইল চেয়ার বসে ওই যুবক ভিক্ষা করতে দেখা যায়। সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলকারী পথচারীদের উদ্দেশ্যে তার ভিক্ষা চাওয়ার আকুতি শোনা যায়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিতাভ পরাগ তালুকদার বলেন, বিশ্বনাথ উপজেলাকে ভিক্ষুক মুক্ত উপজেলা ঘোষনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। স্থানীয় ভিক্ষুকদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সরকারিভাবে বেশ কয়েকজন ভিক্ষুককে পুর্নবাসন করা হয়েছে। তবে বিশ্বনাথের স্থানীয় ভিক্ষুকদের পুর্নবাসন করা হবে বলে তিনি জানান।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)