শুক্রবার ● ২৩ নভেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » মাটিরাঙ্গায় দুর্নীতির দায়ে পিইসি পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব বহিষ্কার
মাটিরাঙ্গায় দুর্নীতির দায়ে পিইসি পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব বহিষ্কার
মাটিরাঙ্গা প্রতিনিধি :: (৯ অগ্রহায়ন ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.৩২মি.) পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় চলতি বছরের পিইসি (প্রাথমিক শিক্ষা সনদ) পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগে উপজেলার শান্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব মো. রবিউল আলমকে চলতি বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাসহ প্রাথমিক ও ইব্তেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা সংক্রান্ত দায়িত্ব থেকে তিন বছরের জন্য অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিভীষণ কান্তি দাশ স্বাক্ষরিত এক পত্রে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। একই সাথে ওই কেন্দ্রের হল সুপার ও নতুনপাড়া (পশ্চিম) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল ইসলামকে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পালনের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, চলমান সমাপনী পরীক্ষায় শান্তিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিভিন্ন অনিয়ম ও নীতিমালা বহির্ভুত কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে মর্মে অভিযোগ করেন সহকারী হল সুপার ও বলিচন্দ্রপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সোবহান। একই সাথে কেন্দ্রটিতে কেন্দ্রের বাহির থেকে উত্তরপত্র লিখে আনা হচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার আকস্মিকভাবে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ।
পরিদর্শনকালে পরীক্ষা কেন্দ্রের বিবিধ বিষয় পরীক্ষা-নীরিক্ষা কালে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রেরিত ১হাজার ১শ ১৮টি খাতার (উত্তর পত্র) মধ্যে তিনদিনের পরীক্ষা শেষে ৬শ ৩৩টি অব্যবহৃত উত্তরপত্র থাকার কথা থাকলেও ১৫টি উত্তরপত্র পাওয়া যায়নি। এ সময় ১৫টি উত্তরপত্র না থাকার বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি কেন্দ্র সচিব প্রধান শিক্ষক মো: রবিউল আলম।
এ সময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কৃষ্ণলাল দেবনাথ এবং কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর মোহাম্মদ মোহতাসিম বিল্লাহ তার সাথে উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বহিষ্কৃত প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব মো. রবিউল আলম বাহির থেকে উত্তরপত্র লিখে আনার অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, ভুলবশত: লুসশীটের সাথে অব্যবহৃত ১৫টি উত্তরপত্র ছিল। তাই গণনার সময় পাওয়া যায়নি। তবে এরপরপরই লুসশীটের সাথে উত্তরপত্রগুলো পাওয়া যায় এবং তাৎক্ষনিকভাবে আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসার মহোদয়কে অবহিত করি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাটিরাঙ্গা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কৃষ্ণলাল দেবনাথ বলেন, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে চলতি বছরের পরীক্ষাসহ পরবর্তী তিন বছরের জন্য অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, এর আগে গোমতি গড়গড়িয়া সপ্রাবি‘তে দায়িত্ব পালনকালে বিদ্যালয়ের পুরাতন ভরনের মালামাল চুরি করে বিক্রয়ের সময় স্থানীয়রা হাতে নাতে ধরে আটক করলে সেখানে ভবিষ্যতে আর এমন করবেন না মর্মে মুচলেকা দিয়ে রেহায় পান তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ বিষয়ে শিক্ষক সমাজের সদস্যরা জানান, কিছু কিছু শিক্ষকদের এহেন কর্মকান্ডের জন্যে পুরো শিক্ষক সমাজ আজ ইমেইজ সংকটের সম্মুখীন।