শুক্রবার ● ২৩ নভেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » কৃষি » শিশির ভেজা বাতাসে দুলছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন
শিশির ভেজা বাতাসে দুলছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: (৯ অগ্রহায়ন ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.২৮মি.) শস্য শ্যামলা, সবুজ বাংলার কৃষি প্রধান দেশের গাইবান্ধার জেলার দিগন্ত জুড়ে খোলা মাঠে দুলছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। ধুধু চোখে নজর কাড়ছে আমন ধানের ক্ষেত। কৃষকের কাঙ্খিত স্বপ্নের এ ক্ষেতে আশাতীত ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অগ্রাহয়ণের মৃদু হাওয়ায় ধানের গাছ এখন শিশির ভেজা বাতাসে দুলছে। সম্প্রতি মাঠের চারিদিকে এখন সোনালী রংয়ের সমারোহ। গত বছরের চেয়ে এ বছর আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে মাঠজুড়ে।
গাইবান্ধা জেলার কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ (ডিএই) সুত্র জানা যায়, সাত উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৮৪ হাজার ৪৭১ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের মাধ্যমে ২ লাখ ২২ হাজার ৭৬৭ টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৭৬ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে উফসী (উন্নত ফলনশীল জাত) আবাদ করে ২০ হাজার ৮০৯ টন, ৮৯৯ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড জাত চাষ করে ২ হাজার ৯৬৭ টন এবং ৭ হাজার ১২ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের (এলভি) ধান চাষের মাধ্যমে ২ হাজার ৯৬৭ টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সদর উপজেলার কৃষক মিঠু মিয়া বলেন, এবারে চারা রোপনের সময় প্রকৃতির পানি সংকট থাকলেও পরবর্তীতে বৃষ্টির পানিতে ধানের শীষ এখন ভাল রয়েছে। এমনকি গত বছরের তুলনায় এবারে ধান ক্ষেতে পোকা-মাকড়েরর উপদ্রপ কম ছিল। আশানুরূপ ফলন ঘরে তোলা সম্ভব বলে জানান তিনি।
সদর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোশারফ হেসেন জানান, ইতোমধ্যে কৃষকদের ক্ষেতে কঞ্চি পুতে দেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাতে ওই সমস্ত কঞ্চিতে পাখি বসে জমির ক্ষতিকর পোকা নিধন করতে পারে। সেই সাথে পরিচর্যা করে কম মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগ করে অধিক ফলনের কলা-কৌশলও কৃষকদের শেখানো হয়েছে।
গাইবান্ধা জেলার কৃষি কর্মকর্তা এ, কে, এম সাদিকুল ইসলাম জানান, চলতি আমন মৌসুমে কৃষকদের কাঙ্খিত ফসল অর্জনে প্রতিটি ব্লক পর্যায়ে গিয়ে ক্যাম্পেইনসহ নানা ধরণের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। এর ফলে কৃষকরা তাদের কাঙ্খিত ফসল অর্জন করতে পারে।