শিরোনাম:
●   মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন ●   মানিকছড়িতে ট্রাকের নীচে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু ●   আল ফালাহ ইসলামি একাডেমীর সবক প্রদান অনুষ্ঠান ●   ১১ দফা অবহিতকরণে আত্রাইয়ে আলোচনা সভা ●   পার্বতীপুর রেলওয়ে ইর্য়াডের আম গাছে যুবকের আত্মহত্যা ●   রংধনু ক্লাবের কার্যকরী পরিষদ গঠিত ●   কাউখালী তাহেরিয়া রশিদা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সভা ●   পাকুন্দিয়ায় ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠিত ●   বৈরী আবহাওয়ায় ও শীতের তীব্রতায় বাড়ছে কৃষকের দুশ্চিন্তা ●   কোন হটকারিতায় গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবেনা ●   তরফভাইখাঁ সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   মিরসরাইয়ে শীতার্তের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ●   লংগদু এস এস সি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরন ●   ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৫ এর মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন সম্ভব ●   হালদা থেকে বিপন্ন গাঙ্গেয় প্রজাতির মৃত ডলফিন উদ্ধার ●   খাগড়াছড়ির আলুটিলায় পর্যটকবাহী বাস উল্টে আহত-২০ ●   পানছড়িতে লোগাং জোন এর অনুদান সামগ্রী প্রদান ●   আত্রাইয়ে কুলি-বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে জেলা প্রশাসকের কম্বল বিতরণ ●   চুয়েটে স্থাপত্য বিভাগের ১ম জাতীয় কনফারেন্স শুরু ●   বিজিবির অভিযানে খাগড়াছড়িতে ১২ অনুপ্রবেশকারী আটক ●   ঈশ্বরগঞ্জে জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত ●   কুষ্টিয়ায় বালুঘাট দখল নিতে তাণ্ডব চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ●   রাউজানে বিকাশ প্রতারকের ফাঁদে নারী উদ্যোক্তা তানিয়া ●   যোবায়ের-সাদপন্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ইজতেমা মাঠ : নিহত ৩ ●   মিরসরাইয়ে মধ্য তালবাড়ীয়া স্পোর্টিং ক্লাবের কমিটি গঠন ●   জিয়া কিংবা শেখ মুজিব নয়; জনগণই মুক্তিযুদ্ধের মূল নায়ক : টিপু ●   নবীগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় কলেজ ছাত্রের প্রাণহানি ●   জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এর নেতৃত্বে থাকবেন ড. ইউনূস ও আলী রীয়াজ ●   রেডব্রিজ কমিউনিটি ট্রাস্ট ইউকে বিজয় দিবস উদযাপন
রাঙামাটি, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
শনিবার ● ২৪ নভেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিশ্বনাথে শীতের পিঠা বিক্রির ধুম
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিশ্বনাথে শীতের পিঠা বিক্রির ধুম
শনিবার ● ২৪ নভেম্বর ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বিশ্বনাথে শীতের পিঠা বিক্রির ধুম

--- মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: এক সময় শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গ্রাম অঞ্চলে পিঠাপুলির উৎসব শুরু হতো। শুধুমাত্র গ্রামের বাড়িতে নয় প্রতিটি বাজার এলাকায় জমজমাট হয়ে উঠেছে পিঠা বিক্রির ব্যবসা। কুয়াশা মোড়ানো শীতের হিমেল হাওয়ায় ধোঁয়া উঠা পিঠার স্বাদ না নিলে যেন তৃপ্তি মিঠতো না অনেকের। প্রতিদিন সরিষা বাটার ঝাঁজ আর চিতই পিঠা খেতে রাস্তার বিভিন্ন দোকানে ভীড় করতো ক্রেতারা। মৌসুমি এই পিঠার প্রতি বেশ আগ্রহ ছিল পিঠা প্রেমিকদের। ফলে শীতের শুরুতেই চিতইসহ নানা রকম পিঠার ব্যবসা জমে উঠতো। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য নানা রকমের শীতের পিঠা।

সিলেট অঞ্চলে মেয়ের জামাইয়েরে বাড়িতে তৈরি পিঠা নিয়ে যাওয়ার রেওয়াজ ছিল। যতই শীত বাড়ে ততই যেন মানুষের পিঠা বানানোর ব্যস্থতা বেড়েই চলত। বাহারি রকমের পিঠা তৈরির উৎসবে আত্মহারা হত সর্বস্তরের মানুষ। এখন কর্মচাঞ্চল্য এই ব্যস্ত জীবনের গর্ভে পিঠা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। শীতের সময়ে গ্রামাঞ্চলের প্রতি ঘরেই চিতই, দুধচিতল,পুলি, নকশি, পাটিসাপটা, ভাপা, চুসি, সীম, পাখন, তেলে ভাজা পিঠাসহ হরেক রকমের পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন গৃহিণীরা। কালের বিবর্তনে বাড়িতে পিঠা তৈরির সেই উৎসবমুখর আমেজ হারিয়ে।

মানুষ ফুটপাতের দোকান থেকে পিঠা কিনে নিজে খাচ্ছেন ও ছেলেমেয়েদেরও খাওয়াচ্ছেন। হতদরিদ্র মানুষের জীবিকা নির্বাহের অন্যতম পন্থা হয়ে ওঠে পিঠা বিক্রি। বিশ্বনাথের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একাধিক হতদরিদ্র মানুষ পিঠা বিক্রির উপার্জিত অর্থের মাধ্যমে চালাছে তাদের সংসার। তীব্র কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের পুরান-নতুন বাজার এলাকা বিভিন্ন সড়কের পাশে, পাড়া-মহল্লার মোড়ে মোড়ে বহু হতদরিদ্র মানুষ পিঠা বিক্রি করছেন। বিকেল থেকে শুরু করে অনেক রাত পর্যন্ত এই পিঠা বিক্রি চলে। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ এসব পিঠা খাওয়ার জন্য ভীড় করতে দেখা যায়। এতে এই সব বিক্রেতার রোজগার হয় ভালো। এসব পিঠা বিক্রির কাজে পুরুষের পাশাপাশি বাড়ির গৃহিণীরাও যুক্ত হচ্ছেন তাদের সঙ্গে। পৃথক পৃথক দোকান সাজিয়ে অনেকেই পিঠা বিক্রির কাজ করতে দেখা যায়।

এক পিঠা বিক্রেতা জানান, আগে শীত আসলে গ্রামের মহিলারা ভোরে ঘুম থেকে উঠে পিঠা বানাতে বসত। তখন পরিবারের সবাই মিলে মিশে পরিবারের মধ্যে চলত পিঠা খাওয়ার উৎসব। কিন্তু এখন তা আর হয় না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবন যাত্রা বদলে যাচ্ছে অনেক। কালের বিবর্তনে সঙ্গে আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃতিগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। ফলে পিঠা পাগল মানুষ জন্য বাজারে বিক্রিকৃত পিঠার দিকে ঝুঁকে পড়ছে। শীতের আগমনে দিন মজুরি ছেড়ে অনেকেই ফুটপাতে পিঠা তৈরি করে বিক্রি করেন। গড়ে প্রায় ৪০০-৫০০ টাকা লাভ হয়ে থাকে। পিঠা বানানোর কাজে গৃহিণীরা সাহায্য করে থাকেন। রান্না বান্নার কাজ সেরে গৃহিণীরা পিঠার চাল কুটে গুঁড়ো করে বিকেলে দোকান সাজিয়ে বসেন।

সরেজমিনে উপজেলার সদরের নতুন বাজার কয়েকটি পিঠার দোকান ঘুরে দেখা গেছে, চিতই পিঠা দিয়ে সাজানো রয়েছে রাস্তার পাশে দাঁড়ানো দোকানগুলো। আর তাতে ভীড় করছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার পিঠা প্রেমিকরা। চিতই পিঠার সঙ্গে খাওয়ার জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি ভর্তা (সুটকিভর্তা, সরিষা ভর্তা, মরিচের ভর্তা, ধনিয়া পাতা ভর্তা) ইত্যদি। বিক্রেতারা পিঠা গুলো বানাতে বানাতেই ক্রেতারা গরম পিঠা কিনে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েই মজা করে খাচ্ছে। প্রতিটি চিতই পিঠা বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা করে। চিতই পিঠার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়, গুড়, নারকেল, সিদ্ধ চালের গুঁড়া, শুকনা মরিচ, গুড়া আধা ইত্যাদি।

পিঠা ব্যবসায়ী জমিস উদ্দিন বলেন, প্রতিদিন হাজার টাকার মত পিঠা বিক্রয় করতে পারেন তিনি। মূলত সন্ধ্যায় পিঠা বিক্রি হলেও তুলনামূলক সন্ধ্যার পর পিঠার চাহিদা বেশি থাকে। সব মিলিয়ে ৪শ থেকে ৫শ টাকা আয় করতে পারেন তিনি। এই টাকা দিয়েই চলে সংসার। তিনি শুধুমাত্র শীতের মৌসুমে কেবল এ ব্যবসা শুরু করেন। অন্য সময় বিভিন্ন কাজ করেন বলে জানান।

শীতে সরিষা বাঁটা, ধনিয়া পাতা বাঁটা দিয়ে চিতই পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। বাসায় তৈরি পিঠার চেয়ে একটু বেশিই মজা দোকানের তাই তিনি প্রায় প্রতিদিনই পিঠা কিনে খেয়ে থাকেন।

বিশ্বনাথের আমিনুল ইসলাম নামের এক পিঠা ব্যবসায়ীর বলেন, বছরের অন্য সময় অন্যান্য পেশার কাজ করলেও এই সময়টা পিঠা ব্যবসা করি। ব্যবসা কেমন চলছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিদিন ১ হাজার থেকে ১২শ টাকা বিক্রি করতে পারি। তবে লাভ লোকসান বুঝিনা আমার সংসার কোন রকম চলছে। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পিঠার চাহিদাও বাড়ছে বলে জানান তিনি। এক সময় শীতে শুরুতে বাড়িতে গৃহিণীরা বাহারি পিঠা তৈরি করতেন। কিন্তু এখন আর নানা ঝামেলায় বাড়িতে আর পিঠা বানানো হয় না। সে কারণে ফুটপাতের এসব দোকান থেকে ভাপা পিঠা কিনে খেয়েছেন। পরিবারের জন্য ও নিয়ে যাচ্ছি।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)