শনিবার ● ২৪ নভেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » পুলিশ পরিচয়ে গাইবান্ধায় বাড়িতে ডাকাতি
পুলিশ পরিচয়ে গাইবান্ধায় বাড়িতে ডাকাতি
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: (১০ অগ্রহায়ন ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.১৮মি.) গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পুলিশের পরিচয় দিয়ে প্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলামের (৪০) বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার মাঝরাতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় প্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলামকে গাঁজা ও জাল টাকার ব্যবসায়ি বলে ভয়ভিতি দেখিয়ে বাক্সে থাকা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায় ডাকাতরা। রফিকুল ইসলাম উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ফলগাছা গ্রামের মৃত আ. লতিফ বসুনিয়ার ছেলে।
প্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলাম জানান, রাত ১১টার দিকে একই গ্রামের মৃত. তছির উদ্দিনের ছেলে মাহাবুবর রহমানের স্ত্রী ফোন করেন আমার মোবাইলে। ফোনটি ধরেন আমার স্ত্রী। মাহাবুবর রহমানের স্ত্রী মোবাইল ফোনে জানান- আমার প্রতিবেশী নিকাহ রেজিস্টার (কাজী) আতাউর রহমান মাহাবুবর রহমানের অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের বিয়ে দিতে আমার বাড়িতে রব-কনে নিয়ে আসতে বলেছেন। পরে মাহাবুবর রহমান তার বড় দুলাভাই মন্জু মিয়া ও কনেসহ কয়েকজনকে আমার বাড়িতে রেখে চলে যান। এরপর রাত ১টার দিকে অপরিচিত দুইজন লোকসহ মঞ্জু মিয়া আমার শয়ন ঘরে প্রবেশ করেন। এসময় অপরিচিত দুই লোক পুলিশ প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে ঘর তছনছ করতে শুরু করেন এবং বলেন আমি নাকি গাঁজা ও জাল টাকার ব্যাবসা করি।
প্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলাম আরোও জানান, আমি গাঁজা ও জাল টাকার ব্যবসা করি না বলতেই তারা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং এরই একপর্যায় বিছানা থেকে পাউডার জাতীয় একটি প্যাকেট বের করেন তারা। আমি প্যাকেটি চাইলে তারা নিজ পকেটে সেটা রেখে দেন। এরপর জাল টাকা দেখতে চেয়ে আমাকে চাপ দিলে আমার স্ত্রী বাক্স্র খুলে দেন। পরে তারা বাক্সে রাখা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়।
এদিকে নিকাহ রেজিস্টার (কাজী) আতাউর রহমান এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে এ প্রতিবেদরকে জানান। মাহাবুবর রহমান ও তার বড় দুলাভাই মঞ্জু মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তবে যে দু’জন লোক পুলিশ পরিচয়ে টাকা নিয়ে গেছে তাদের আমরা চিনি না।
থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস.এম আব্দুস সোবহান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আমি অবগত হয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করি ্এবং দোষীদের অটক করে প্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলামকে টাকা ফেরত দিতে সক্ষম হই। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।