সোমবার ● ২৬ নভেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করতে শিপন রবিদাসের দলীয় মনোনয়ন পত্র উত্তোলন
অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করতে শিপন রবিদাসের দলীয় মনোনয়ন পত্র উত্তোলন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের অনগ্রসর আদিবাসী-দলিত ও সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধি হয়ে সংসদে কথা বলার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ রবিদাস ফোরাম (বিআরএফ) এর প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব শিপন রবিদাস প্রাণকৃষ্ণ। তিনি গতকাল (২৪ নভেম্বর, ২০১৮) সন্ধ্যায় বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির হয়ে কোদাল প্রতিকে বগুড়া-০১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে মনোনয়ন পত্র গ্রহণ করেন। তিনি এ আসনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের একমাত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।
রাজধানীর বিজয়নগরস্থ পার্টি কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র প্রদানকালে এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, পলিটব্যুরোর সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, বাংলাদেশ রবিদাস ফোরাম (বিআরএফ) এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি চাঁনমোহন রবিদাস সহ অন্যান্য দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শিপন রবিদাস প্রাণকৃষ্ণ দীর্ঘ সময় যাবৎ সমতলের আদিবাসী, দলিত, হরিজন, তৃতীয় লিঙ্গ ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে নিয়ে কাজ করে আসছেন। তিনি বিগত সময়ে আদিবাসী ছাত্র পরিষদ, বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ৩য় বারের মতো বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম) এর বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সারা বগুড়া জেলার দলিত ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায় ও সুসংগঠিত করতে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখছেন। এছাড়াও তিনি মাইনোরিটি রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, ভূমিবল সমাজ পার্টি সহ বেশকিছু সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও অধিকার ভিত্তিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত আছেন। বর্তমানে শিপন রবিদাস বাংলাদেশের ৮ লক্ষ্যাধিক অনগ্রসর রবিদাস জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও জীবনমান উন্নয়ন এবং মানবাধিকার সুরক্ষায় ১১ দফা দাবিতে সক্রিয় সংগঠন “বাংলাদেশ রবিদাস ফোরাম (বিআরএফ)” এর মহাসচিব হিসেবে কাজ করছেন। সংগঠনটি সারাদেশের এপর্যন্ত ৬৭টি শাখায় সাধ্যমতো কাজ করে যাচ্ছে।
মনোনয়ন পত্র গ্রহণকালে শিপন রবিদাস প্রাণকৃষ্ণ বলেন, “বাংলাদেশের আনুমাণিক ৩০ লক্ষ আদিবাসী, ৬৫ লক্ষ দলিত, ১৫ লক্ষ হরিজন, ১৫ লক্ষ চা-শ্রমিক সহ আরও অন্যান্য অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর সর্বমোট সংখ্যা প্রায় এক কোটির বেশি। কিন্তু জাতীয় সংসদে এই বিপুল পরিমান জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি অনুপস্থিত। সংখ্যানুপাতে এই সকল জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা সময়ের দাবী। রাষ্ট্রকে এক্ষেত্রে মানবিক আচরণ করতে হবে। নির্বাচনী মূল¯্রােত প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে আসা এই বিপুল পরিমান জনগোষ্ঠীর জন্য অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহন করবার মতো পর্যাপ্ত প্রস্তুতি বা সামর্থ দু’টোর কোনটিই তাদের নেই সঙ্গত কারনেই। তাই সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করে আমাদের নিজেদের কষ্টের কথা নিজেদেরকেই বলার সুযোগ করে দিতে হবে খোদ রাষ্ট্রকেই। নয়তো এই বাংলা প্রকৃত অর্থে সকলের বাংলা হয়ে উঠবে না। মূলতঃ অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মাঝে রাজনৈতিক সচেতনতা ও উৎসাহ-উদ্দীপনা জাগিয়ে তুলতেই আমি সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবার ইচ্ছে প্রকাশ করেছি। যাতে করে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হয়ে আগামীতে এগিয়ে আসে। আপনাদের সকলের আশির্বাদ ও সমর্থণ কামনা করছি।”