সোমবার ● ২৬ নভেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » অসময়ে তিস্তার ভাঙনে ঘরবাড়িসহ শতাধিক একর আবাদি জমি নদীগর্ভে
অসময়ে তিস্তার ভাঙনে ঘরবাড়িসহ শতাধিক একর আবাদি জমি নদীগর্ভে
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: (১২ অগ্রহায়ন ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.১৪মি.) অসময়ে তিস্তার ভাঙনে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উঠতি ফসলসহ শতাধিক একর আবাদি জমি এবং ৫০টি পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। নদী ভাঙন অব্যাহত থাকায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের মানুষজন। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত রাক্ষুসি তিস্তা নদীর কড়াল গ্রাসে চন্ডিপুর, শ্রীপুর, কাপাসিয়া, বেলকা ও হরিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন চরাঞ্চলে তিস্তার ভাঙন দেখা দিয়েছে।
গত ১৫দিনরে ব্যবধানে ফসলসহ শতাধিক একর আবাদি জমি এবং ৫০টির মত পরিবারের ঘরবাড়ি ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। অব্যাহত ভাঙনের মুখে অনেক পরিবার তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে এবং আবাদি জমির ফসল অসময়ে কেটে নিচ্ছে। পানির স্তরে নিচে চলে যাওয়ায় ভাঙনের তীব্রতা ব্যাপক আকার ধারণ করছে। বিশেষ করে উপজেলার চন্ডিপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের ব্যাপকহারে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের মুখে ঘরবাড়ি সরিয়ে নেয়া পরিবার গুলো খোলা আকাশের নিচে কন-কনে ঠান্ডায় মানবেতর জীবন যাপন করছে।
কাপাসিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে শতাধিক একর জমি ফসলসহ নদীতে বিলিন হয়েছে। যে হারে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে তাতে করে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে শত-শত একর জমি নদীতে চলে যাবে। তিনি বলেন তারও ৫একর জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।
শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানান, স্থায়ীভাবে নদী সংরক্ষণ ও শাসনের ব্যবস্থা না করলে প্রতি বছর এভাবে নদী ভাঙতে থাকবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুনবী সরকার জানান, নদী ভাঙনের বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ২টি ইউনিয়নের ভাঙন কবলিত পরিবাদের মাঝে ঢেউটিন ও অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।