শনিবার ● ১ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » রাজশাহীতে আশায় বুক বেঁধেছে ৩ বিকল্প প্রার্থী
রাজশাহীতে আশায় বুক বেঁধেছে ৩ বিকল্প প্রার্থী
রাজশাহী প্রতিনিধি :: (১৭ অগ্রহায়ন ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.২৮মি.) রাজশাহীতে সংসদীয় ছয়টি আসনে ১৬ জনকে দলীয় মনোনয়নের প্রত্যায়নপত্র দিয়েছে বিএনপি। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় ‘মূল’ প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল হলে আরেকজন যেন দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে পারেন সে জন্যই এমন কৌশল নিয়েছে বিএনপি। মূল প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিলে তৎপরতা চালচ্ছেন বিকল্প প্রার্থীরা।
জানা গেছে, রাজশাহীর ৬ আসনের মধ্যে অন্তত তিনটির ‘আসল’ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিলের ঝুঁকি রয়েছে। তারা হলেন- রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের ব্যারিস্টার আমিনুল হক, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের নাদিম মোস্তফা এবং রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) এর আবু সাঈদ চাঁদ। এদের মধ্যে ব্যারিস্টার আমিনুল হক জঙ্গিবাদে মদদদানের অভিযোগে ৩১ বছর, নাদিম মোস্তফার দুর্ণীতির অভিযোগে ৭ বছর সাজা হয়েছিল। আর আবু সাঈদের বিরুদ্ধে রয়েছে ১৩টি নাশকতার মামলা।
তাদের বিকল্প প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন ব্যারিস্টার আমিনুল হকের স্ত্রী আভা হক ও বিএনপির প্রধান শরীক দল জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, নাদিম মোস্তফার বিকল্প জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম মন্ডল ও আবু সাঈদ চাঁদের বিকল্প জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান খান মানিক।
একাধিক সূত্রমতে, ইতোমধ্যেই জামায়াতের নেতারা ব্যারিষ্টার আমিনুল হকের মামলা ও সাজার আইনি কাগজপত্র সংগ্রহ করে নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে। আর নাদিম মোস্তফার সকল আইনি কাগজপত্র নির্বাচন কমিশনে দিয়েছে তার বিকল্প প্রার্থী নজরুল ইসলাম মন্ডলের আইনজীবী ছেলে। এছাড়াও আবু সাঈদ চাঁদের মামলার কাগজপত্র সংগ্রহ ও আইনি বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছে নুরজ্জামান খান মানিকের নিয়োগ করা আইনজীবী। আগামী রোববার নাগাদ এই আইনি কাগজপত্র নির্বাচন কমিশনে জমা হতে পারে বলে সূত্রটির দাবি। এছাড়াও নিজেদের আইনজীবীর মাধ্যমে সব প্রার্থীর মামলা ও সাজার কাগজপত্র সংগ্রহ করছে রিটানিং অফিসার।
রাজশাহী গেছে, রাজশাহী-১ আসনে জামায়াতসহ তিনজন, রাজশাহী-৫ আসনে তিনজন এবং রাজশাহী-৬ আসনে দুইজন করে বিকল্প প্রার্থী রয়েছে। এদের মধ্যে রাজশাহী-১ আসনের জামায়াত ছাড়াও বাকি সবাই বিএনপির প্রত্যায়নপত্র নিয়েই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। নিয়ে রাখছেন নির্বাচনের প্রস্তুতি। তবে কারও প্রার্থিতা বাতিল হচ্ছে কি না তা জানা যাবে ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ হবার পর।