রবিবার ● ২ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » কৃষি » পটুয়াখালীতে আমন ধানের বাম্পার ফলন
পটুয়াখালীতে আমন ধানের বাম্পার ফলন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি ::পটুয়াখালীর উপজেলাগুলোত চলতি বছর আমন ধানের বাম্পার ফলন ফলেছে। তবে শ্রমিক সংকটসহ নায্যমুল্য না পাওয়ায় হতাশা আর দুশ্চিন্তায় কৃষক। শ্রমিক সংকটে ক্ষেত থেকে পাকা ধান ঘরে ফসল তুলতে পারছে না অনেক কৃষক। ফলে ক্ষেতেই পড়ে রয়েছে পাকা আমন ধান। অপরদিকে মৌসুমের শুরুতেই মধ্যস্বত্তভোগীদের কারনে ধানের প্রকৃত মুল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কৃষক।
কৃষি বিভাগ সংশ্লিষ্টরা জানান, কৃষি কাজে বেড়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার। কিন্তু আর্থিক সীমাবদ্ধতায় অনেক কৃষক সে সব উপকরন সংগ্রহ করতে পারছেনা।
অপরদিকে কৃষকরা জানায়, যেহেতু কৃষি কাজ একটি সিজনাল কর্ম সেহেতু এলাকার অনেক কৃষি শ্রমিক যোগ দিয়েছে বিভিন্ন আয় বর্ধক পেশায়। এলাকায় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় এবং বেশি রোজগার হওয়ায় কৃষি কাজের শ্রমিক কমে গেছে। এর পাশপাশি বেড়েছে শ্রমিকের শ্রম মূল্য। যা একজন কৃষকের পক্ষে বহন করা অসম্ভব।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ৪০ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ করা হয়। এসব জমিতে স্থানীয়জাত ছাড়াও ব্রি ৫১, ৫২, ৪১, ৭৬, ৭৭, ৭৩ এবং ব্রি ১১, ২২, ২৩, স্বর্নমুসুরী জাতের ধানের আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে উচু জমিতে উৎপাদিত বিআর-১১, ব্রি-৫২, স্থানীয় জাতের শালগ্রীমি ও কুটি অগ্রানী ধান ইতিমধ্যে কাটা করা শুরু করেছে কৃষক। কিন্তু শ্রমিক সমস্যায় অনেক কৃষক মাঠ থেকে ধান ঘরে তুলতে পারছেন না। অপরদিকে বর্তমানে ধানের বাজার দর কম রয়েছে বলে অভিযোগ কৃষকদের।
কৃষকদের দাবী, এতে শ্রমমূল্য বাদে লাভের অংশ খুব বেশি থাকছেনা। জমির শ্রেণি প্রকার ভেদে কোন কোন সময় শুধু শ্রম মুল্যের প্রাপ্তি হচ্ছে। আবার লোকসানও গুনতে হচ্ছে। কৃষক বিল্লাল মৃধা জানান, স্থানীয় মাপের ৩ শতাংশ জমির চাষাবাদে খরচ পরেছে ১হাজার টাকা। আগাম জাতের আমন ধান বিক্রয় হচ্ছে ৪শ’ থেকে সাড়ে ৫শ’টাকা মন দরে।