রবিবার ● ২ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » আলীকদমে পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২১ তম বর্ষ পালিত
আলীকদমে পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২১ তম বর্ষ পালিত
আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি :: বান্দরবানের আলীকদমে জমকালো নানা আয়োজনে উদ্যাপিত হল শান্তিচুক্তির ২১ তম বর্ষপুর্তি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আলীকদম জোনের আয়োজনে আজ রবিবার দিবসকে ঘিরে দিনব্যপী কর্মসূচী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে নানা প্রকার ব্যানার ফ্যাস্টুন দিয়ে আলীকদমের প্রধান সড়কগুলোকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। সকালে আলীকদম শহীদ মিনার চত্বর থেকে সকল জাতী সম্প্রদায়ের নির্বিশেষে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বর্ণাঢ্য র্যালীর মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রমের শুভারম্ভ হয়। পরে র্যালীটি শেষ হওয়ার পর আলীকদম শহীদ মিনার চত্বরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলীকদম সেনা জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল সাইফ শামীম।
আলীকদম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম এর সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক কামরুজ্জামান ও পাইনুসাং মারমা যৌথ উপস্থাপনার অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আলীকদম উপজেলা নির্বাহী নজিমুল হায়দার, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরে জান্নাত রুমি, লাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইনু মারমা, লামা বিভাগীয় বন বর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন, আলীকদম থানার অফিসার্স ইনচার্জ রফিক উল্লাহ, লামা থানার অফিসার্স ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রামে তৎসময়কার চলমান সংকট নিরষনে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিক প্রচেষ্টায় ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়। চুক্তিতে শর্তগুলোর মধ্যে ইতি মধ্যে আর্ধশতাধিক সরকার বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির পক্ষ থেকে একমাত্র শর্ত ছিল তারা শতভাগ অস্ত্র জমা করবে। কিন্তু তারা তাদের একমাত্র শর্ত ভঙ্গ করে শান্তিচুক্তির বিষয়ে সাধারণ জনগনের মনে ভূল ধারানার জন্ম দিয়েছে। তারা এখনো চাঁদাবাজি করছে, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। পক্ষান্তরে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ জেএসএস সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দিচ্ছে তাদের কষ্টে উপর্জিত অর্থ। আর এই শান্তিচুক্তি হওয়ার কারণে শন্তু লারমা গাড়িতে পাতাকা লাগিয়ে রাস্তায় চলা ফেরা করছেন।
বক্তরা আরো বলেন আর কোন চাঁদা নয়, সন্ত্রাস নয়, সঙ্ঘাত নয়। এবার সময় এসেছে সম্পৃতীর মাধ্যমে শান্তি বিরাজ করার। আলোচনা সভা শেষে শীতার্থদের মাঝে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। পরে দুপুরে আলীকদম সেনা জোনে প্রীতিভোজ, বিকেলে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ও রাতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।