রবিবার ● ২ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » বান্দরবানে ৬জনের মনোনয়নপত্র বাতিল : প্রার্থীতা পেল ৩ জন
বান্দরবানে ৬জনের মনোনয়নপত্র বাতিল : প্রার্থীতা পেল ৩ জন
বান্দরবান প্রতিনিধি :: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। এসময় বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য ও ঠিকমতো কাগজপত্র জমা না দেওয়ার কারণে ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬ জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
আজ রবিবার (২ ডিসেম্বর) বেলা ১২ টায় বান্দরবান জেলা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দাউদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বান্দরবান জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সকাল ১০টা থেকে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়। এসময় জেলা নির্বাচন অফিসার মো. রেজাউল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কামরুজ্জামানসহ বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা, ব্যাংক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা ও মনোনয়ন প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়, ভোটার তালিকায় স্বাক্ষর মিল না থাকা ও বম সম্প্রদায়ের সতন্ত্র প্রার্থী নাথানা লনচেও বম, মৃত মানুষের এন,ইউ,ডি নাম্বার দেওয়ার অভিযোগে মনোনয়নপত্র বাতিল করাহয়। এসময় বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য ও ঠিকমতো কাগজপত্র জমা না দেওয়ার কারণে ৯ জনের মধ্যে মোট ৬ জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
বাতিল প্রার্থীরা হলেন- মহিলা দলের সেক্রেটারি উম্মে কুলসুম সুলতানা লীনা, সতন্ত্র প্রার্থী ডনাইপ্রু নেলী, নাথানা বম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাশ, জেলা বিএনপির সভাপতি মা ম্যা চিং ও মো. বাবুল হোসেন।
এছাড়া বিএনপি থেকে মনোনয়ন নেওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি মা ম্যা চিং ও মো. বাবুল হোসেনের কাগজপত্র আরও যাচাই-বাছাই করার পর বিকাল পাঁচটার সময় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।
তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাচিংপ্রু জেরী ও ইসলামী আন্দোলনের শওকতুল ইসলামের কাগজপত্র ঠিক থাকায় এ তিনটি মনোনয়ণপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
এই বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন বালেন, এখানে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাদের কেউ বিদ্যুৎ, গ্যাস, ঋণ বা কোন পাওনা খেলাপি থাকতে পারবে না। এছাড়া কেউ মিথ্যা তথ্য গোপন করতে পারবে না। তাই এই সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেই বৈধ এবং অবৈধদের বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যারা বাতিল হয়েছে তারা ১২০ টাকার কোর্ট ফি সংগ্রহ করে তিনদিনের ভেতরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।