বুধবার ● ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » অপরাধ » আলীকদমে নিয়ন নীতির তোয়াক্কা না করে নির্বিচারে পাথর আহরণ
আলীকদমে নিয়ন নীতির তোয়াক্কা না করে নির্বিচারে পাথর আহরণ
আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি:: বান্দরবানের আলীকদমে পাহাড় ও ঝিরি থেকে জনৈক পাথর ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে নির্বিচারে অবৈধভাবে পাথর আহরণের অভিযোগ উঠেছে৷ গত ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫ইং তারিখ আলীকদম সেনা জোনের জোন কমান্ডার এর বরাবরে উপজেলার ২৯১ নং তৈনফা মৌজাস্থ উক্লিং ম্রো কারবারী পাড়ার পার্শববর্তী গুইসাপ ঝিরি এলাকার প্রায় ৪০ জনের স্বাক্ষরীত এক অভিযোগ পত্র দায়ের করে৷ পাথর আহরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ও পাথর আহরণকারীর মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে৷
অভিযোগে পত্রে প্রকাশ, উপজেলার ২৯১ নং তৈনফা মৌজাস্থ উক্লিং ম্রো কারবারী পাড়ার পার্শবর্তী গুইসাপ ঝিরি এলাকার লোকজনের ব্যবহৃত পানির একমাত্র উত্স৷ সুদিন মৌসুমে পাহাড় থেকে চুষে আসা এই পানি ছাড়া এলাকার লোকজনের বিশুদ্ধ পানির আর কোন উত্স্য নেই৷ এসব ঝিরি থেকে পাথর উত্তোলন করলে এলাকার আনুমানিক ১৫০ থেকে ২০০ পরিবার পানীয় জলের হুমকিতে মুখে পড়বে৷ নির্বিচারে পাথর আহরণের ফলে পাহাড়ি ঝিরি ও ছড়ার পানি শুকিয়ে যাচ্ছে৷ ফলে স্থানীয় পাহাড়ি জনগোষ্ঠী পানি সংকটে ভূগছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷ এছাড়াও পাথর পরিবহনের জন্য পাহাড় কেটে তৈরি করা হচ্ছে যোগাযোগের রাসত্মা৷ রাসত্মা তৈরিতে ব্যাপক হারে বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ পারমিট ছাড়া পাথর আহরণ নিষিদ্ধ হলেও বহিরাগত একশ্রেণীর ঠিকাদার বেআইনী পন্থায় এসব পাথর আহরণ করে সেনা বাহিনীর ১৬ ইসিবির তত্ত্বাবধানে নির্মিতব্য সড়কে ব্যবহার করে চলেছে৷
অভিযোগে দাবী করা হয়, পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন ছড়া ও ঝিরির ভূগর্ভস্থ ও ভাসমান পাথর গতবছরের সেপ্টেম্বর থেকে স্থানীয় ও বহিরাগত কতিপয় ঠিকাদার অবৈধভাবে আহরণ করছে৷ এসব পাথর আহরণে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেই৷ অবৈধ উপায়ে আহরিত পাথর আলীকদম-থানচি সড়ক নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ স্থানীয়রা পাথর উত্তোলনের বাধা দিলে সংশ্লিষ্টরা নানাভাবে হয়রানী করার হুমকী দিচ্ছে৷
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আলীকদম সেনা জোনের জোন কমন্ডার লেঃ কর্ণেল সরোয়ার হোসেন পিএসসি বলেন এটি একটি আইনি বিষয়৷ তবুও আমার কাছে যেহেতু অভিযোগ এসেছে, আমি উভয় পক্ষকে ডেকে বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পাথর উত্তোলন না করার জন্য বলেছি৷ অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি কেউ বাধা উপেৰা করে পাথর তোলার চেষ্টা করে তাহলে আমি অভিযোগকারীদেরকে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেব৷
এবিষয়ে জনৈক পাথর ব্যবসায়ীর কলিমুল্লাহ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি অনেক টাকা বিনিয়োগ করেছি৷ কিন্তু পরিস্থিতি সামাল দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয় বিধায় আমি সব কিছু আমার অংশিদার মং মার্মা কে বুঝিয়ে দিয়ে চলে এসেছি৷ কিন্তু মংয়ের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি নানা অজুহাতে কোন বক্তব্য দিতে চাননি৷