মঙ্গলবার ● ৪ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » কৃষি » সবুজের সমারহে ভরে উঠেছে গাইবান্ধার চরাঞ্চল
সবুজের সমারহে ভরে উঠেছে গাইবান্ধার চরাঞ্চল
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: নানাবিধ ফসলের বাহারে গাইবান্ধার চরাঞ্চলের মাটি যেন সোনায় পরিণত হয়েছে। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও নদী খনন, শাসন, ড্রেজিং ও সংরক্ষণ না করায় উজান থেকে নেমে আসা পলি জমে অগভীর খরস্রোতী তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদী তীর আবাদি জমিতে রুপ নিয়েছে। দীর্ঘদিনের ভাঙনে জমি জিরাত খুঁয়ে যাওয়া পরিবার গুলো যেন তাদের প্রাণ ফিরে পেয়েছে। ভাঙনে শেষ সম্বল হারিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যাওয়া পরিবার গুলো পুনরায় চরে ফিরে এসে বাপ-দাদার ভিটায় স্ত্রী, পুত্র, পরিজন নিয়ে নানাবিধ ফসলের চাষাবাদে মেতে উঠেছে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, ও সাঘাটা উপজেলায় বিভিন্ন চরাঞ্চলে এখন নানা জাতের শাকসবজি, আলু, বেগুন, মরিচ, ছিটা পিয়াজ, আদা, রসুন, শিম, গাজর, কফি, মুলা, লাউ, গম, তিল, তিশি, সরিষা, ভুট্টাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ধান চাষ করা হচ্ছে। চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বাহারি ফসলের নজর কারা দৃশ্য।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুরের আনোয়ার মিয়া জানান, আজ থেকে দশ বছর আগে তার ৫ বিঘা জমি নদীতে বিলিন হয়ে যায়। যার কারনে তিনি বাপ দাদার ভিটা ছেড়ে দিনাজপুরে গিয়ে বসবাস শুরু করে। গত ২ বছর হল তার চরের জমিগুলো আবাদিতে জমিতে পরিনত হয়েছে। সে এখন বাপ-দাদার ভিটায় ফিরে এসে পুনরায় চাষাবাদ শুরু করেছে। তিনি বলেন গত বছর ২বিঘা জমিতে ছিটা পিয়াচের চাষ করে ১৮ হাজার টাকা লাভ করেছে। এ বছর ২ বিঘা জমিতে আলু, এক বিঘা জমিতে ভুট্টা এবং এক বিঘা জমিতে সবজি চাষ করেছে। তিনি আশাবাদি চলতি মৌসুমে তিনি সব মিলে ৪০ হতে ৫০ হাজার টাকা লাভ করবে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জানান, চরাঞ্চলে উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণ, বাজারজাত করণ এবং প্রক্রিয়াজাত করণের কোন ব্যবস্থা না থাকায় চাষিরা মুনাফা অর্জন করতে পারছে না। তাছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন থাকায় চরাঞ্চল হতে চাষিরা উৎপাদিত পণ্য সহজে বাজারে নিতে পারছে না।
কৃষি অফিসার এ. কে. এম. সাদিকুল ইসলাম জানান, চরাঞ্চল এখন আবাদি জমিতে পরিনত হয়েছে। চরাঞ্চলের মাটিতে পলি জমে থাকার কারনে অনেক উর্বর। সে কারনে রাসায়নিক সার ছাড়াই বিভিন্ন ফসলের ফলন ভাল হচ্ছে।