বৃহস্পতিবার ● ৬ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » সেতু না থাকায় দুর্ভোগে ২০ গ্রামের মানুষ
সেতু না থাকায় দুর্ভোগে ২০ গ্রামের মানুষ
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা তিস্তার শাখা নদীর উপর নির্মিত রামডাকুয়া সেতুটি ২০১৫ সালের বন্যা ভেসে যায়। তখন থেকে আজ পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসন বিকল্প কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় নৌকা দিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে ২০ গ্রামের মানুষজনকে। বিশেষ করে স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদেরকে চরম দুর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে। ঘন্টার পর ঘন্টার খেয়াঘাটে দাড়িয়ে থেকে পাড় হতে হচ্ছে তাদেরকে। যার কারণে নিয়মিতভাবে ক্লাস করতে পারছেনা তারা।
২০১২ সালে তৎকালীন এমপি আব্দুল কাদের খান নিজ অর্থায়নে ইঞ্জিনিয়ারিং প্লান স্টিমেট ছাড়াই পৌর শহরের উপর দিয়ে তিস্তার শাখা নদীতে রামডাকুয়া সেতু নির্মাণ করে। নির্মাণের পর থেকে সেতুটি নড়বড়ে ছিল। যানবাহন চলাচল ছিল অত্যন্ত ঝুকিপুর্ণ। ২০১৫ সালে কয়েক দফা বন্যার স্রোতে সেতুটি ভেসে যায়। তখন থেকে নৌকা যোগে উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর ইউনিয়নের চর খোদ্দা, খোদ্দা, চর তারাপুর, নিজাম খাঁ, তালুক বেলকা, বেলকা নবাবগঞ্জ, কানি চরিতা বাড়ী, চর বিরহীম, চরিতাবাড়ী, কাশিম বাজার, বজরা, রিয়াজ মিয়ারচরসহ ২০ গ্রামের মানুষজন চলাচল করে আসছে। সেতুটি ভেসে যাওয়ার পর স্থানীয় মনতাজ মিয়া জেলা পরিষদ থেকে খেয়াঘাটের লিজ নিয়ে এসে নৌকা দিয়ে লোকজন পারাপার করছে। ২০ গ্রামবাসির এখন একমাত্র ভরসা হচ্ছে নৌকা। চরাঞ্চলের ছেলে-মেয়েরা প্রতিদিন নৌকা পাড়ি দিয়ে স্কুল ও কলেজে যাওয়া আসা করে। খেয়াঘাটে দাড়িয়ে এক হতে দেড় ঘন্টা দাড়িয়ে থাকতে হয় শিক্ষার্থীদেরকে। যার কারণে প্রতিদিন যথাসময়ে স্কুল ও কলেজে পৌঁছাতে পারে না তারা।
ব্যবসায়ী মফিদুল হক মন্ডল জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ায় চরের তরিতরকারি ও ফসলাদি শহরে নিয়ে আসা দুরহ্ ব্যাপার হয়ে দাড়িয়ে।
পৌর মেয়র আব্দুল্যাহ আল মামুন জানান, সেতুটি নির্মাণের যাবতীয় ব্যবস্থা প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি আগামী বছরের শুরুতেই কাজ শুরু হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মুনছুর জানান, সেতুটি টেন্ডারের অপেক্ষায় রয়েছে। খুব শিঘ্রই কাজ শুরু হবে।