শুক্রবার ● ৭ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » জাতীয় » জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট
জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট
ঢাকা প্রতিনিধি :: জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন হয়েছে। আবেদনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের পরিবর্তে ইসির আওতাভুক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে করা এই আবেদনে ভোট স্থগিতের কোনো আরজি জানাননি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুর রহমান। তিনি বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চের অনুমতি নিয়ে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি দায়ের করেন।
রিট আবেদনকারীর আইনজীবী সাকিব মাহবুব বলেন, রোববার আবেদনটি শুনানির দিন ধার্য করার জন্য মেনশন স্লিপ জমা দেব। সোমবার শুনানি হতে পারে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে ঘোষণা করে ৮ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের জারি করা গেজেট কেন অবৈধ, অসাংবিধানিক ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, সেই রুল চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনটিতে।
জ্যেষ্ঠ আইন সচিব, নির্বাচন কমিশনের পক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, জনপ্রশাসন সচিব ও নির্বাচন কমিশন সচিবকে আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডিসিরা নির্বাচন পরিচালনাকারী হওয়ার সুযোগ নেই। এতে সাংবিধানিক বাধা রয়েছে। কারণ সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হইবে। এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জেলা প্রশাসকরা প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী বিভাগে কর্মরত আছেন। তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করে থাকেন। ফলে তারা সরাসরি নির্বাচন পরিচালনায় অংশ নিলে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করতে পারে।
সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের ৪ দফা উল্লেখ করে রহমান তার আবেদনে বলেছেন, দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন থাকবে। অতএব জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে এ দায়িত্ব অর্পণ করা উচিত। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় সব জেলাতেই বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর বিরোধিতা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমরা বরাবরই যে কথা বলে আসছি, সরকারি কর্মকর্তাদের যে সরকার দায়িত্বে থাকে, তাদের কথা বেশিরভাগ সময় মেনে চলতে হয়। সে কারণে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ন্যায়বিচার করা সম্ভব হয় না।