মঙ্গলবার ● ১১ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে মনি স্বপন দেওয়ানের সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়
রাঙামাটিতে মনি স্বপন দেওয়ানের সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়
ষ্টাফ রিপোর্টার :: গতকাল সোমবার সকাল ১১ টায় বিএনপির জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মনি স্বপন দেওয়ান।
এসময় রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্জ্ব শাহ আলম, এ্যাড.সাইফুল ইসলাম পনির সহ মামুনুর রশিদ মামুন, এস এম শফিউল আজম,মাহবুবুল বাসেত অপু, নিজাম উদ্দিন, ছাত্রদল রাঙামাটি জেলা সভাপতি ফারুক আহমেদ সাব্বির সহ সকল অংগ সংগঠনের সভাপতি সাঃ সম্পাদক গন উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে প্রার্থী মনি স্বপন বলেন আমি ২০০১ হতে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রাঙামাটি তে এমপি এবং উপমন্ত্রী ছিলাম।
আমি থাকার সময় রাঙামাটিতে পাহাড়ি বাঙালির কোন ভেদাভেদ ছিলোনা। কোন দাঙ্গা-হাঙ্গামার কবলে পরতে হয়নি রাঙামাটি বাসীর। দীপংকর তালুকদার ও উষাতন তালুকদার আসার পরে এত দাঙ্গাহাঙ্গামা হয়েছে। তার একটি কারন তারা শান্তি সম্প্রীতি উনয়নের ধারা বজায় রাখতে জানেনা।
চাকুরী নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বলেন আমি মন্ত্রী হওয়ার পরে চাকুরী ক্ষেত্রে সকলের মেধা যাচায় করে চাকুরী দিতাম। দীপংকর ও উষাতন আসার পরে সরকারি সকল চাকুরী ১০ হতে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঘুষ হিসাবে নিয়েছেন। মেধাবীদের ন্যাহ্য পাওয়া হতে বঞ্চিত করেছেন। যদি জনগন আমাকে আবার এমপি বানায় তা হলে আমি আগের মতো বৈষম্য ফিরিয়ে আনবো।
শান্তিচুক্তি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বলেন, শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর হয় ১৯৯৭সালে আমি ক্ষমতায় আসি ২০০১ সালে। আমি শান্তিচুক্তির বিপক্ষে ছিলাম। কিন্তু শান্তিচুক্তি নিয়ে এত আন্দোলন হৈ-হুল্লো করতে পারেনি পাহাড়ের আঞ্চলিক দলগুলো আমি ক্ষমতায় থাকার সময়। ২০০৬ এর পরে দীপংকর এবং উষাতন এমপি হওয়ার পর কেনো এত দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয়েছে, তার একটাই কারন তারা পাহাড়ে শান্তি চাই না।
পর্যটনী নগরী নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বলেন রাঙামাটি সবচেয়ে বড় জেলা এবং সৌন্দর্য্যের দিক দিয়ে রাঙামাটি অনেক এগিয়ে আছে। কিন্তু বিশেষ ঝামেলাগুলো নিয়ে পার্বত্য অঞ্চলের রাঙামাটি জেলা পিছিয়ে, কারন ২০০৬ এর পরের এমপি মন্ত্রীরা পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটায়নি। তারা নিজস্ব পকেট ভর্তী করছে রাঙামাটির উন্নয়নের নাম দিয়ে। আমাকে যদি জনগন এবার ২৯৯ আসনে এমপি বানায় তা হলে পর্যটন নগরী হিসাবে রাঙামাটিকে নতুনভাবে সাজাবো এবং পর্যটক আসার জন্য আরো সু-ব্যাবস্থা চালু করবো।
জমি বন্দোবস্ত বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন আমি স্বাক্ষর করে জমি বন্দোবস্ত বন্ধ করেছিলাম তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং স্কুল কলেজ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এক কথায় জনগনের স্বার্থে যেগুলো ব্যাবহার হয় সেগুলোকে বন্দোবস্ত করানো হয়। সুধুমাত্র কিছু চ্যাটেলার পাহাড়ি বাঙালি যারা রাঙামাটির স্থায়ী নয় তাদের ক্ষেত্রে জমি বন্দোবস্তের নিষেধাজ্ঞা জারী হয়।
২০০৬ এর পরে দল ক্ষমতায় না আসায় পর হতে তিনি দলে না থাকার প্রশ্নে বলেন আমি আমার ব্যাক্তিগত ভাবে দল থেকে চলে গিয়েছিলাম তখন সু-সময় ছিলো দলের। কিন্তু এখন দুঃসময় দলের, আমি পুনরায় দলে ফিরে আসার একমাত্র কারন হলো গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার করা এবং বেগম জিয়ার যে মিথ্যা মামলায় শাস্তি পাচ্ছেন তার অবসান ঘটানো।
২৯৯ নং আসনটি বেগম জিয়াকে উপহার হিসাবে দিবো এবং গনতন্ত্র খর্বকারীদের বিচারের আওতায় আনবো।তার পাশাপাশি ছাত্রদল,যুবদল,স্বেচ্ছাসেবক দল বিভিন্ন অংগ সংগঠনের সাথে জড়িত রাঙামাটি বিএনপির সকল নেতাদের মিথ্যা মামলাগুলো পরিহার করাবো এবং জনগনের প্রতি আস্থা রেখে বলেন জনগন আবার তাকে নির্বাচিত করবে পাহাড়ি বাঙালির যে ঝামেলা সেটা ভুলে গিয়ে তার দলকে জয়ী করবে।
আমাকে ভোট দিয়ে এমপি বানালে রাঙামাটি সকল স্তরের জনগন আবার শান্তি ফিরে পাবেন বলে আশাব্যাক্ত করেন।