বুধবার ● ১২ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » গনগ্রেফতার বাড়িঘর ভাংচুর নির্বাচন তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যনের কাছে লিখিত অভিযোগ
গনগ্রেফতার বাড়িঘর ভাংচুর নির্বাচন তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যনের কাছে লিখিত অভিযোগ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: অবশেষে ঝিনাইদহের ৪টি আসনে নৌকার সমর্থকদের ব্যাপক নৈরাজ্য, বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশের গনগ্রেফতার, মারধর ও প্রচার মাইক ভাংচুরের অভিযোগ করেছে বিএনপি প্রার্থীরা। বুধবার জেলা রির্টানিং অফিসার, সহ-রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচনী তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যন ও ঝিনাইদহ যুগ্ম-জেলা দায়রা জজের কাছে পৃথক ভাবে এ সব আবেদন করা হয়। বুধবার দুপুরে ধানের শীষের প্রধান এজেন্ট মোঃ জাহিদুল ইসলাম একটি আবেদন পত্র তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যনের কাছে জমা দেন। এ ছাড়া ঝিনাইদহ-৪ আসনে বিএনপি প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ফিরোজ ও ঝিনাইদহ-১ আসনে এড আসাদুজ্জামান জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত ও মৌখিক ভাবে জানান। ঝিনাইদহ-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বুধবার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুপুর টেক্সটাইল কলেজের পাশে এবং গান্না ইউনিয়নের লক্ষিপুর গ্রামে আমার প্রচার মাইক হামলা করে ভাংচুর করা হয়। হাট গোপালপুর বাজারে লিফলেট বিতরণের সময় আমার সমর্থক জাহাঙ্গীর কবির মিন্টু, খাঁজুরা সাইদ জোয়ার্দ্দার, আবু সাইদ, ডাকবাংলার বৈডাঙ্গা থেকে খাদেম, রবিউল ডাক্তার, আনোয়ারসহ ৫০ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এছাড়া হামদহ বাস ষ্ট্যান্ডে আশরাফের দোকান ভাংচুর, শুকুর আলীর বাড়ি ভাংচুর ও তার স্ত্রী এবং ছেলেকে মারধোর করে। অচিন্তানগর গ্রামের ইদ্রিস আলীর দুইটা গরু ও তিনটি ছাগল লুট করেছে নৌকার সমর্থকরা। বালিয়া ডাঙ্গার আরব আলী, হরিশংকরপুরের লোকমান উভয়কে মেরে হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে নৌকার সমর্থকরা। মান্দারতলার আমিরুলের বাড়ি ও আক্তারের দোকান ভাংচুর করা হয়েছে। স¤্রাট নামে একজনকে হাতুড়ি পেটা করা হয়েছে। শহরের ওয়াজির আলী স্কুলের সামনে উপজেলা বিএনপির নেতা ডাকবাংলা এলাকার জাহাঙ্গীর, কামাল হোসেন ও শরীফুল ইসলামকে বুধবার বিকালে নৌকার সমর্থকরা ব্যাপক মারধর করে। ঝিনাইদহ পৌরসভার কাউন্সিলর বিএনপি নেতা মহিউদ্দীনকে গ্রেফতরা করা হয়েছে। অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে ডাকবাংলা ফাড়ির এসআই তৌহিদুল ইসলাম সারারাত গাড়ি নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় তান্ডব চালিয়ে বেড়াচ্ছেন। নির্বাচনী এলাকায় ধানের শীষের কর্মী ও সমর্থকদের মারধোর এবং নানা রকম ভয় ভীতি ও অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজসহ ব্যাপক সহিংসতা চলানো হচ্ছে। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে নির্বাচনী আচারণ বিধি লংঘন করে জেলাব্যাপী পুলিশ ও আওয়ামীলীগের এই অরাজকতা চলতে থাকলে সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও অংশ গ্রহণমূলক নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়। তবে এসব বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম হিরন জানান, বিএনপির আভ্যন্তরিন কোন্দলে এ ঘটনা ঘটেছে। নৌকার কোন সমর্থক বা কর্মী হামলার সাথে জড়িত নয়। এদিকে, ঝিনাইদহ-৪ আসনে বিএনপি প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ফিরোজ জানান, নৌকার প্রার্থী নিজে ও কালীগঞ্জ থানার ওসি বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এলাকা ত্যাগের জন্য হুমকী দিচ্ছে। ঝিনাইদহ-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী এ্যড. আসাদুজ্জামান আসাদ অভিযোগ করেন, শেখপাড়া বাজারে তার গাড়ি বহরে হামলা চালিয়ে অর্ধশত যানবাহন ভাংচুর করেছে নৌকার ক্যাডার বাহিনী। হামলা চালানোর পর উল্টো শৈলকুপা থানা পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়নে পুলিশের পাশাপাশি নৌকার সমর্থকরা ব্যাপক অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। এ সব বিষয়ে তিনি রির্টানিং অফিসারের কাছে প্রতিকার দাবী করেন। এ বিষয়ে শৈলকুপার সহ-রিটার্নিং অফিসার ইউএনও উসমান গণি জানান, প্রতিটি ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি পরিবেশ শান্ত রাখার।