শনিবার ● ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » বাউফলে বিএনপি’র ১২ নেতা কর্মীকে কুপিয়ে জখম
বাউফলে বিএনপি’র ১২ নেতা কর্মীকে কুপিয়ে জখম
পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় কালাইয়া ও কাছিপাড়া এ দুই ইনিয়নের বিএনপির সভাপতিসহ ১২ কর্মীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এদের মধ্যে কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আলীকে (৫০) ও মো. আফজাল বয়াতীকে (৫০) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ ১৫ ডিসেম্বর শনিবার দুপুর একটার দিকে কালাইয়া লঞ্চঘাট এলাকায় নিজ বাসভববনের সামনে কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আলীকে ছাত্রলীগের কর্মীরা পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কালাইয়া তিন দোকান এলাকায় মো. রুবেল হোসেন (২৮) নামে এক বিএনপি কর্মীকে পিটিয়ে আহত করা হয়। সকালে কাছিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. তৈয়ব আলী সিকদারকে (৬০) বাহেরচর বাজার এলাকায় তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে নামিয়ে মারধর করা হয়। সোয়া ১১ টার দিকে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৪০) নামে আরেক বিএনপি কর্মীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে কর্পূরকাঠী এলাকায় মো. ফারুক গাজী (৪০) নামে এক বিএনপি কর্মীকে মারধর করা হয়। শুক্রবার রাতে মমিনপুর বাজার এলাকায় বিএনপির প্রচারণার মাইক ও সাউন্ডবক্স ভেঙে ফেলা হয় এবং ওই বাজারে মো. মামুন (৪০) ও মো. হালিমের (৩৮) ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে তাঁদেরকে মারধর করা হয়। একই রাতে আফজাল বয়াতি (৫০), মো. বাদল শরীফ (৪৫), মো. জামাল খন্দকার (৩৮), মো. খবির খন্দকার (৩৫), মো. বাবুল মেলকারকে (৪০) পিটিয়ে আহত করা হয়। এদের মধ্যে আফজাল বয়াতিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মোসা. সালমা আলম বলেন, তাঁদের নেতা-কর্মীদের ওপর কোনো কারণ ছাড়াই মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হচ্ছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদার বলেন,এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এসব ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কোনো নেতা-কর্মী জড়িত না।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।