শনিবার ● ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » গাজিপুর » ৩০ ডিসেম্বর গণজাগরণ হবে : গাজীপুরে রব
৩০ ডিসেম্বর গণজাগরণ হবে : গাজীপুরে রব
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বর গণজাগরণ হবে। ৭০’এর নির্বাচনে যেমন ভোটের বিপ্লব হয়েছিল এবার ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোটের বিপ্লবে ধানের শীষের বিজয় হবে।
আজ ১৫ ডিসেম্বর শনিবার বিকেল ৩টায় গাজীপুর-২ আসনের টঙ্গীতে ধানের শীষের প্রার্থী সালাহ উদ্দিন সরকারের নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আ স ম আব্দুর রব বলেন, শক্তিশালী কেন্দ্র কমিটি গঠন করে ভোটের আগের দিন রাত থেকে কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। ভোটের আগের রাতে যেন সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরে রাখতে না পারে সে ব্যাপারে কড়া পাহারা দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হেরে গিয়ে বিরোধী দলে গেলে আমরা তাদের কোনো ক্ষতি করবো না। তাদের নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করবো। বাংলাদেশের জনগণের প্রতিটি ভোট খালেদা জিয়ার মুক্তিকে তরান্বিত করবে।
আ স ম আব্দুর রব বলেন, ১৯ মার্চ রাত থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত হিন্দু-মুসলমান মা-বোনদের ওপর যে কমান্ডো বাহিনী অত্যাচার করেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে নিয়েছে সেই বাহিনীর কমান্ডারের হাতে শেখ হাসিনা নৌকা তুলে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা বলেন, সবকিছুর শেষ আছে, মরাকে মেরে লাভ নেই। আ স ম আব্দুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, নজরুল ইসলাম খান, ডাঃ জাফর উল্লাহ, হাসান উদ্দিন সরকার আমরা যারা এখানে বসে আছি সবাই মুক্তিযুদ্ধ করেছি। আমরা মৃত্যুকে ভয় পাই না। আমরা কয়েকবার মারা গিয়েছি। আপনিতো মুক্তিযুদ্ধ দেখেন নাই।
গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি হাসান উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ জাফরউল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, ডাঃ এজেডএম জাহিদ হোসেন, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহরাব উদ্দিন প্রমুখ।
জনসভায় মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এবার আমরা যুদ্ধে নেমেছি। এ যুদ্ধে তাদের কাছে অস্ত্র আছে আমাদের কাছে নেই। মানুষ আমাদের পক্ষে আছে। তাদের পক্ষে নেই। এখন ভোটের লড়াই শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দিলে তারা লেভেল হয়ে যাবে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষার নির্বাচন, দুঃশাসনের অবসান, ব্যাংক লুট, দুর্নীতি ও অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির নির্বাচন। মানুষের অধিকার রক্ষার নির্বাচন। ক্ষমতাসীনরা হারতে চায় না, তারা ক্ষমতা ছাড়তে ভয় পায়। যারা অত্যাচারী হয় আল্লাহ তাদের পছন্দ করে না। তারা পরাজিত হবে।
ডাঃ জাফরউল্লাহ চৌধুরী জনসভায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের জয় হয়ে গেছে, ২ জানুয়ারি ন্যায় বিচারের মধ্যেমে খালেদা জিয়া কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন।
গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহরাব উদ্দিন জানান, এই জনসভাটি দুপুরে টঙ্গী কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। প্রশাসন মাঠটি ব্যবহারের অনুমতিও প্রদান করে কিন্তু সকাল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ওই মাঠটি অন্যায়ভাবে দখল করে রাখে। পরে প্রার্থী সালাহ উদ্দিন সরকারের বাস ভবন প্রাঙ্গণে জনসভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
টঙ্গীর জনসভা শেষে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ আ স ম আব্দুর রবের নেতৃত্বে ময়মনসিংহহের উদ্দেশ্যে সড়ক পথে যাত্রা করেন। বিকেলে তারা শ্রীপুরের মাওনায় গাজীপুর-৩ আসনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকীর পথ সভায় যোগ দেন।