রবিবার ● ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহে ২ সাংবাদিককে মারধর সহ অফিস ভাংচুর
ঝিনাইদহে ২ সাংবাদিককে মারধর সহ অফিস ভাংচুর
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহ শহরের এইচএসএস সড়কে অবস্থিত যমুনা টেলিভিশনের প্রতিনিধি’র কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাবে ভাংচুর করেছে চিহ্নিত দুর্র্বত্তরা। সে সময় ডিবিসি নিউজের জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রহমান মিল্টন ও স্থানীয় দেশেরবাণী পত্রিকার প্রতিনিধি জহির হোসেনকে ব্যাপক মারধর করেছে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শনিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে শহরের এইচএসএস সড়কে স্থানীয় সাংবাদিকদের একটি অফিসে এ ঘটনা ঘটে। এসময় অফিস ভাংচুর করে মোবাইল ও ল্যাপটপ ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত দুই সাংবাদিকের অবস্থা গুরুতর। যমুনা টিভি ও ইনডিপেনডেন্ট প্রত্রিককার জেলা প্রতিনিধি আহম্মেদ নাসিম আনসারী জানান, শনিবার রাত সোয়া ৯টার সময় একদল চিহ্নিত দুর্বৃত্ত তার অফিসে আকস্মিক ভাবে হামলা চালিয়ে চেয়ার টেবিল, কম্পিউটার, মডেম ভাংচুর করে। তৎ সময় ডিবিসি টেলিভিশনের আব্দুর রহমান মিল্টন ও দেশের বানী পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি জহিরুল ইসলামকে ব্যাপক মারধর করা হয়। তাদের দ্রুত ঝিনাইদহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডিবিসি টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রহমান মিল্টন ও স্থানীয় দেশেরবাণী পত্রিকার প্রতিনিধি জহির হোসেন রাতে অফিসে বসে ছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা জহুরুল ইসলাম হিরো ও শামীমুল ইসলাম শামীমের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেখানে এসে হামলা চালায়। তারা ওই দুই সাংবাদিককে ব্যাপক মারধর করে মোবাইল ও ল্যাপটপ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। অফিসের কম্পিউটার, টেলিভিশন ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা ও পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত সাংবাদিক মিল্টন জানান, জহুরুল ইসলাম ও শামীম নামের দুই ব্যক্তি অফিসে এসে বলেন ‘তোরা বিএনপির নিউজ করিস’। এ বলেই তারা মারধর করে। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম. রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক নিজাম জোয়ারদার বাবলুসহ জেলায় কমর্রত সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। খবর পেয়ে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস, র্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান হামলার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস জানান, আমাদের কাছে বেশ কয়েকজনের নাম এসেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুতই আটক করা হবে। উল্লেখ্য, শহরের আজাদ রেস্ট হাউজের সামনে সাংবাদিকদের এই অফিসটিতে যমুনা টেলিভিশন ও ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকার প্রতিনিধি আহমেদ নাসিম আনসারী, একাত্তর টিভির প্রতিনিধি রাজিব হাসানসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা বসে থাকেন।