রবিবার ● ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » অপরাধ » বিশ্বনাথের অটোরিকশা চালকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার : আটক-৩
বিশ্বনাথের অটোরিকশা চালকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার : আটক-৩
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথের অটোরিকশা (সিএনজি) চালক কামরুল ইসলামের (১৯) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সে বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের বাইশঘর গ্রামের নূর উদ্দিনের ছেলে। শনিবার রাতে দক্ষিণ সুরমার থানার বিবিদইল এলাকায় রাস্তার পাশে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। তাৎক্ষনিক বিষয়টি এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েন। শনিবার রাতে এমন খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে অটোরিকশা চালকের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এহত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আজ রবিবার সকালে জনতার সহযোগিতায় তিনজনকে আটক এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু ও অটোরিকশা গাড়ি উদ্ধার করেছে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন-বিশ্বনাথ উপজেলার আটঘর গ্রামের আবদুর রুপের ছেলে আবদুস সালাম (২৯), একই গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে নাজিম উদ্দিন (৩০), সিলেট নগরীর মদিনা মার্টেক এলাকার বাসিন্দা আলফু মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান (৩০)।
অটোরিকশা চালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, নিহত অটোরিকশা চালক বিশ্বনাথ এলাকার বাসিন্দা। গতকাল শনিবার বিকেলে আটককৃতরা যাত্রীবেশে অটোরিকসা গাড়িটি ভাড়া নিয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু রাত১০টায় অটোরিকসা চালকের পরিবারের লোকজন তার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা চেষ্ঠা করলে ব্যবহৃত ফোন বন্ধ পান। এরপর থেকে তারা চালক কামরুল ইসলামকে খোজাখুজি করেন।
তিনি বলেন, অটোরিকসা চালককে গাড়ি ভাগা করে যারা নিয়ে গিয়েছিল তাদেরকে চালকের এক নিকট আত্বীয় দেখতে পান। আজ রবিবার সকালে আটঘর গ্রামের আটক নাজিম উদ্দিনকে নিহত চালকের আত্বীয় স্বজনরা ডেকে আনেন। পরে সে অটোরিকসা চালককে হত্যা করেছে বলে স্বীকার ও তার সঙ্গে অপরজন আবদুস সালাম ছিল বলে জানায়। পরে এলাকাবাসী আবদুস সালামকে আটক করেন। পরে থানা পুলিশ আটককৃতদের নিয়ে আসে। এরপর আটককৃতদের নিয়ে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধারে অভিযানে নামে। আটককৃতদের দেখানো মতে দক্ষিণ সুরমার থানার বিবিদইল এলাকার একটি ফসলি জমির পানি থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করে হয়। পরে সিলেট নগরীর মদিনা মার্কেট এলাকায় থেকে অটোরিকশা গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটি বর্তমানে দক্ষিণ সুরমা থানায় রয়েছেন বলে তিনি জানান।