শনিবার ● ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে আ’লীগ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীর অভিযোগ
রাঙামাটিতে আ’লীগ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীর অভিযোগ
ষ্টাফ রিপোর্টার :: রাঙামাটি-২৯৯ সংসদীয় আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মণিস্বপন দেওয়ান অভিযোগ করে বলেছেন, আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা পুলিশের সহায়তায় রাঙামাটি জেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীসহ আমার সমর্থকদের ওপর প্রতিনিয়ত হামলা চালাচ্ছে। মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে চরম হয়রানি করছে। এ পর্যন্ত ১৩ মামলায় ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। আজ ২৯ ডিসেম্বর শনিবার শহরের কাঠালতলীর জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন মণিস্বপন দেওয়ান।
এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট দীপেন দেওয়ান, উপজাতীয় বিষয়ক সহ-সম্পাদক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) মণীষ দেওয়ান, জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক দীপন তালুকদার দীপুসহ প্রমূখ জেলা বিএনপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মণিস্বপন দেওয়ান বলেন বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করে দিচ্ছে আওয়ামী লীগ ক্যাডাররা। তারা আমার পোলিং এজেন্টদের থেকে কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে ভোট কেন্দ্রে না যেতে বলে দিয়েছে। শুক্রবার রাতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা করেছে আওয়ামী লীগ ক্যাডাররা। এ সময় ভোট কেন্দ্রে গেলে খবর আছে বলে হুমকি দিয়েছে তারা। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এসব তান্ডবে জনমনে তৈরি হয়েছে চরম আতঙ্ক। জনগণ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার নেই। প্রশাসন নিরপেক্ষ নয়। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে প্রশাসন থেকে কোনো রকম সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। উল্টো আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে প্রশাসনের লোকজন। ফলে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। কেন্দ্রে যেতে ভয় পাচ্ছেন ভোটাররা। আমরা প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকার আহবান করছি। সুষ্ঠু নির্বাচনের ফলাফল আমরা মাথা পেতে নেব। নির্বাচনে জয় নিয়ে যাদের আতঙ্ক, তারাই পেশীশক্তি প্রয়োগ, তান্ডব চালায়। আমাদের জয় নিশ্চিত, তাই কোনো ভয় নেই। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।
মণিস্বপন বলেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের হামলা ও নির্যাতনে এ পর্যন্ত বিএনপির ১০০-১৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ছাড়া নানাভাবে চাপ দিয়ে কতিপয় বিএনপি নেতাকর্মীকে আওয়ামী লীগে যোগদানের নাটক করা হচ্ছে।