শনিবার ● ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » কৃষি » গাভী পালনে ফিরছে সচ্ছলতা
গাভী পালনে ফিরছে সচ্ছলতা
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: গাভী পালন করে সচ্ছলতা ফিরছে গাইবান্ধার মানুষের। অধিকাংশ বাড়িতেই পালন করা হয় গাভী। গাভীর দুধ বিক্রি করে সংসারে বাড়তি আয়ের যোগান হচ্ছে। ফলে আর্থিক সচ্ছলতা ফিরছে তাদের।
প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধার মানুষদের মধ্যে গাভী পালনে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রতিদিন ১ হাজার থেকে ১৫শ লিটার দুধ বিক্রি হয়।
এর মধ্যে রয়েছে শাহীওয়াল, ফ্রিজিয়ান, অস্ট্রেলিয়ানসহ বিভিন্ন উন্নত প্রজাতির গাভী। কৃত্রিম প্রজনন, রোগ প্রতিরোধে টিকাদান, চিকিৎসা, গাভী পালনে কারিগরী পরামর্শসহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করা হয়।
গাভী পালন করে দুধ বিক্রেতা মজনু মিয়া ও অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রতিদিন ১ হাজার থেকে ১৫শ লিটার দুধ বিক্রি হয়। স্থানীয় বাজারে চাহিদা মেটার পরও দুধ অবিক্রিত থাকছে। ফলে তারা অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে দুধ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। কখনো কখনো দুধ অবিক্রিত থাকার ফলে সেগুলো নষ্ট হয়ে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন তারা। চরের প্রায় প্রতিটি পরিবারেই তিনটি থেকে ছয়টি পর্যন্ত গাভী রয়েছে।
সদর উপজেলার কাটিহারা গ্র্রমের রাজু মিয়া (৪০) বলেন, আমার ৬টি গরুর মধ্যে ৩টি দুধ দেয়। সেই দুধ বিক্রি করে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়াসহ সংসার চালাতে পারছি। কিন্তু আগে অভাবে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটতো। সাঘাটা উপজেলার খামার পবনতাইড় গ্রামের আয়নাল হক (৬৫) বলেন, আমার ৫টি গরুর মধ্যে বর্তমানে ২টি গাভীর ১৫ থেকে ১৮ লিটার দুধ হয়। কৃষি কাজের পাশাপাশি গাভীর দুধ বিক্রি করে ভালো মুনাফা পাচ্ছি।
রিকল প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর এসকেএস ফাউন্ডেশনের বাহারাম খান বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফ্যামের সার্বিক সহায়তায় এসকেএস ফাউন্ডেশনের রিকল প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রাণ গ্রুপ সাঘাটা উপজেলা সদরের পার্শ্ববর্তী ঝাড়াবর্ষা গ্রামে একটি চিলিং প্লান্ট (দুধ শীতলীকরণ কেন্দ্র) স্থাপন করছে। কেন্দ্রটিতে প্রায় ২ হাজার লিটার দুধ বিক্রয়ের নিশ্চয়তা এবং দুধের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন দুধ উৎপাদনকারীরা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবদুল লতিফ বলেন, গাইবান্ধা সদরসহ উপজেলা ও ইউনিয়নে যে পরিমাণ দুধ উৎপাদন হয় স্থানীয়ভাবে মানুষের চাহিদা মেটার পরও অনেক দুধ অবিক্রিত থাকে। প্রাণ গ্রুপ সাঘাটায় একটি চিলিং প্লান্ট (দুধ শীতলীকরণ কেন্দ্র) স্থাপন করছে। দুধের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন খামারীরা। এতে মানুষদের মধ্যে গাভী পালনে আগ্রহ বাড়বে বলে জানান তিনি।