বৃহস্পতিবার ● ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » অপরাধ » আলীকদমে অপহরনের জের ধরে আবারও জোড়া খুন
আলীকদমে অপহরনের জের ধরে আবারও জোড়া খুন
আলীকদম (বান্দরবান ) প্রতিনিধি :: বান্দরবানের আলীকদমে আবারো এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের জের ধরে খুন হল দুই মুরুং সন্ত্রাসী৷ ৩০ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ৩ টায় আলীকদম-থানচি সড়কের ১৩ কিলোমিটার এলাকায় দুটি সন্ত্রাসী গ্রম্নপের মধ্যে গোলাগুলিতে এঘটনা ঘটে৷ নিহত একজন হলেন পার্শ্ববর্তী থানচি উপজেলার অবয় কারবারী পাড়ার লক্ষয় ম্রো, এর ছেলে সিংলক ম্রো (৩০), কিন্তু অপর একজনের নাম ঠিকানা জানা যায়নি৷ তবে ধরণা করা হচ্ছে অপর ব্যক্তি ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের হবে৷
স্থানীয়রা ভোরে মৃতদেহ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে আলীকদম সেনানিবাসে ফোন করলে সকালে আলীকদম সেনানিবাস হইতে একটি টহল ও পুলিশের উদ্ধার দল ঘটনা স্থলে যায়৷ এসময় মৃত দুই ব্যক্তির হেদ তল্লাশি করে একটি দেশীয় তৈরি রিভলবার, দুটি ছরি ও ঘটনা স্থল থেকে ৭.৬২ বোরের চারটি খালি গুলির খোশা পাওয়া যায়৷
স্থানীয়রা জানায়, বুুধবার দিনগত রাত আনুমানিক ১২ টা ৩০ মিনিটে আলীকদম-থানচি সড়কের দোছড়ি এলাকার ১৩ কিলো পয়েন্ট থেকে উপজেলার পানবাজার এলাকার মৃত লালাশাহ ফকির এর ছেলে বোরহান উদ্দিন(৩০) কে অপহরণ করে সদ্য আত্মসমর্পনকৃত মুরুং সন্ত্রাসী গ্রুপ ম্রো ন্যাশনাল ডিফেন্স পার্টি (এমএনডিপি)”র বিচ্ছিন্নতাবাদী কয়েকজন সন্ত্রাসী৷ ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে অপহৃতকে ছিনিয়ে নেয়ার জন্য স্থানীয় অপর একর ত্রিপুরা সন্ত্রাসী গ্রুপের লোকজন তাদের উপর হামলা চালায়৷ এতে দুপৰের মধ্যে দীর্ঘক্ষন গোলাগুলিতে দুই ব্যক্তি নিহত হয়৷
উল্যেখ্য যে, দীর্ঘ ১৮ বছর পূর্বে অনুষ্ঠিত শান্তিচুক্তির পর ২০১১ সালে গজিয়ে উঠা পাহাড়ি সন্ত্রাসী গ্রুপ এমএনডিপি অনেক জল্পনা কল্পনার পর গত ৫ নভেম্বর ২০১৫ ইং তারিখ অস্ত্রজমাদানসহ আত্মসমর্পন করে৷ কিন্তু দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত তারা যেসমস্ত আধুনিক অস্ত্র সরঞ্জামাদি ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল সেসব অস্ত্র জমা দানের কথা থাকলেও মুলতঃ তা হয়নি৷ যেসব অস্ত্র জমা পড়েছে তার অধিকাংশই ব্যবহারের অযোগ্য৷ বিষয়কে কেন্দ্র করে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, যে সব অস্ত্র দিয়ে তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করেছে সেসব স্বয়ংক্রীয় অস্ত্র কোথায়?
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আলীকদম থানার ওসি অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত চলে আসা উপজাতী দুটি সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে চলমানর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এঘটনা ঘটে৷ আমরা মৃত দেহ উদ্ধার করেছি এবং তাদেরকে ময়না তদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে৷