শুক্রবার ● ৪ জানুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » নওগাঁ » আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের টোকেন মেশিন বিকল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন চলাচল
আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের টোকেন মেশিন বিকল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন চলাচল
নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: নওগাঁর আত্রাই আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের টোকেন মেশিন দীর্ঘ প্রায় ৬মাস যাবৎ বিকল রয়েছে। ফলে চরম ঝুঁকি নিয়ে হাতকাগজের মাধ্যমে ক্লিয়ারপ্রাপ্ত লাইনে ট্রেন চলাচল করছে।এভাবে মাসের পর মাস হাতকাগজের মাধ্যমে ট্রেন চলাচলের কারণে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পাওে বলে মনেকরছেন রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।জানাযায়, ব্রিটিশ আমল থেকে ব্রিটশ সময়ে নির্মিত টোকেন মেশিনের মাধ্যমে আহসানগঞ্জ ও মাধনগর স্টেশনের লাইন ক্লিয়ার কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিলো। এখনও পর্যন্ত দেশের প্রতিটি স্টেশনে এই টোকেন মেশিনের মাধ্যমে লাইন ক্লিয়ার দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী নির্বিঘেœ ট্রেন চলাচল করে থাকে।
প্রায় ৬মাস পূর্বে নাটোরের মাধনগর স্টেশনের পশ্চিম পাশে একটি ব্রিজ নির্মাণের কাজ করতে গিয়ে মাটির নিচ দিয়ে যাওয়া টোকেন মেশিনের তারটি কেটে যায়। ফলে বিকল হয়ে যায় আত্রাইয়ের আহসানগঞ্জ ও মাধনগর স্টেশনের টোকেন মেশিনের কার্যক্রম। ৬মাস পূর্বে তার কেটে এই সার্ভিস কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলেও অদ্যাবধি মেরামত করা হয়নি। বর্তমানে আত্রাই আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনের জন্য লাইন ক্লিয়ার দিতে হাত কাগজ ব্যবহার করা হচ্ছে। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের একজন কর্মচারী বলেন, নিয়ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ এক সপ্তাহ পর্যন্ত হাতকাগজের মাধ্যমে ট্রেন চালানো যায়। কিন্ত মাসের পর মাস ধরে এভাবে ট্রেন চালানো কোন ভাবেই নিরাপদ নয়। হাতকাগজের মাধ্যমে ট্রেন চালানোর ফলে কিছুদিন পূর্বে আত্রাই পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনের উত্তর পাশে অল্পের জন্য দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে রেহাই পায়।
আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার মো: ছাইফুল ইসলাম জানান, টোকেন মেশিনটি বিকল হওয়ার সাথে সাথেই উর্ধ্বতন মহলকে অবগত করানো হয়েছে। টোকেন মেশিন লাইন ক্লিয়ারের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যে স্থানে মাটির নিচে তার কেটেছে তা শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না বলেই এটি সচল হচ্ছে না। আশাকরছি অল্প দিনের মধ্যেই কর্তৃপক্ষ এটি মেরামত করে সচল করবেন।
এদিকে হাজার হাজার ট্রেন যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত টোকেন মেশিন সচল করা প্রয়োজন বলে মনেকরছেন উপজেলার সচেতন মহল।