রবিবার ● ৬ জানুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » নাব্যতা সংকটে নৌ চলাচল বন্ধ ভোগান্তিতে মানুষ
নাব্যতা সংকটে নৌ চলাচল বন্ধ ভোগান্তিতে মানুষ
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে গাইবান্ধার সাথে যোগাযোগের প্রায় ৫০টি খেয়াঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ওইসব নৌরুটে নৌকায় চলাচলকারি চরাঞ্চলের ২০ লক্ষাধিক মানুষ এখন চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং জেলা পরিষদ সুত্রে জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র এবং যমুনা তীরবর্তী কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলা, বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা এবং জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুরের যোগাযোগের অন্যতম প্রধান পথই হচ্ছে নৌরুট। নদী পথে ওইসব এলাকার হাজার হাজার মানুষ নিয়মিত যোগাযোগ, ব্যবসা বাণিজ্য এবং অফিস আদালতের কাজে এখন যাতায়াত করে। কিন্তু উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে বালি ও পলি জমে জমে নদীগুলো ক্রমেই ভরাট হচ্ছে। শুকনো মৌসুমে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার বুকে অসংখ্য চরাভূমি জেগে ওঠায় নদীগুলো অসংখ্য শাখা প্রশাখায় পরিণত হয়েছে। জেগে উঠেছে এ অঞ্চলে এক হাজারেরও বেশী বালু চর। এক পর্যায়ে নদীগুলোর শাখা প্রশাখাতেও নাব্যতা সংকট সৃষ্টি হয়। ফলে নৌপথ সম্পুর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এতে নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পুর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে খেয়াঘাটগুলো বন্ধ হয়ে ইজারাদাররাও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে।
গাইবান্ধা জেলা পরিষদ এবং সংশি¬ষ্ট ইজারাদারদের সূত্র জানা যায়, বর্তমানে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় ৫টি রৌমারীতে, ৪টি ও রাজিবপুরে ৩টি খেয়াঘাট, গাইবান্ধা সদরে ৮টি, ফুলছড়ির ১০টি ও সাঘাটার ৬টি অপরদিকে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার দু’টি সারিয়াকান্দির ৩টি এবং জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার ৩টি ও দেওয়ানগঞ্জের ৫টি নৌ ও খেয়াঘাট একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। নৌ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরাঞ্চলের মানুষদের এখন পায়ে হেঁটে হাট-বাজারে এবং দুর দুরান্তরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ফলে মহিলা, শিশু ও রোগীদের সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বিকল্প অন্য কোনো পথে চলাচল করার উপায় থাকে না।
বালাসীঘাটের ইজারাদার শেখ সরদার আসাদুজ্জামান হাসু জানান, নাব্যতা সংকটের কারণে মূল ঘাট থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার পূর্ব পাশে নদীর ভেতরে বর্তমানে ফেরীঘাট চালু করতে হয়েছে। এখন ঘাট লীজ নিয়ে লোকসানের মুখে পড়তে হয়। নাব্যতা সংকটের কারণে বছরের প্রায় ৬ মাসই নৌকা চলাচল বন্ধ করে দিতে হয়।