সোমবার ● ৭ জানুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » জেষ্ঠ্যতা তালিকা চ্যালেঞ্জ করা রিটের পক্ষে রায় দিয়েছে উচ্চ আদালত
জেষ্ঠ্যতা তালিকা চ্যালেঞ্জ করা রিটের পক্ষে রায় দিয়েছে উচ্চ আদালত
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: জেষ্ঠ্যতা তালিকাকে চ্যালেঞ্জ করে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংক্ষুব্ধ সহকারী শিক্ষকদের দায়ের করা রীটের পক্ষে রায় দিয়েছে উচ্চ আদালত। রায়ে ৪০টি প্রধান শিক্ষক পদ রীটকারীদের জন্য সংরক্ষন করে আদেশ প্রাপ্তির এক মাসের মধ্যে কার্যকরের নির্দেশনাও প্রদান করেছে উচ্চ আদালত।
প্রধান শিক্ষক পদে চলতি দায়িত্ব প্রদানে জেষ্ঠ্যতা তালিকা যথাযথভাবে প্রনয়ণ করা হয়নি দাবী করে রীটকারী দীঘিনালা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মারেফাতুল ইসলাম বলেন, ০১/০৪/২০১৮ইং তারিখে প্রনয়ণকৃত জেষ্ঠ্যতা তালিকা চ্যালেঞ্জ করে ১৬/০৫/২০১৮ খ্রি. তারিখে উচ্চ আদালতে দায়ের করা রীট (পিটিশন নং-৬২০৬/২০১৮) চলাকালীন প্রাথমিক ও গণ-শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ০৬/০৯/১৮ তারিখের পত্রের আলোকে খাগড়াছড়ি জেলার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ০৯/০৯/২০১৮ইং তারিখে সহকারি শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে চলতি দায়িত্ব প্রদানের অফিস আদেশ দেন। কেন মাত্র তিন দিনের মধ্যে তড়িগড়ি করে নিয়োগ আদেশ দেয়া হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রীটকারী এ শিক্ষক।
রীট পিটিশনকারী উন্নয়ন খাতভূক্ত সহকারি শিক্ষকগনের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণে চাকুরিতে ১ম যোগদানের তারিখ থেকে গণনা পূর্বক জ্যেষ্ঠতা তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা থাকলেও তা উপেক্ষা করা হয়েছে মন্তব্য করে রীটকারী শিক্ষক মারেফাতুল ইসলাম দাবী করে বলেন, উচ্চ আদালতে রীট চলাকালীন জেষ্ঠ্যতা লঙ্ঘন করে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলায় অর্ধশতাধিক সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক পদে চলতি দায়িত্ব প্রদান নিয়ম বহির্ভুত। তিনি বলেন, জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত শিক্ষকরা অবিলম্বে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নের দাবী জানান। তারা বলেন, জ্যেষ্ঠতার তালিকা প্রনয়ণে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন ছাড়াই প্রধান শিক্ষক পদে চলতি দায়িত্ব প্রদান শিক্ষকদের মাঝে অসন্তোষের জন্ম দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষ্ণলাল দেবনাথ বলেন, নিয়ম মেনেই জেষ্ঠ্যতার তালিকা প্রনয়ণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে এডিপিইও মো: আ: হাই জানান, ২০১১ সালের নন ক্যাডার বিধি-২ শাখা অনুযায়ী করা হয়েছে। জ্যেষ্ঠতার তালিকা উপজেলা থেকে প্রনয়ন করে দেয়া হয়, আমরা শুধুমাত্র অগ্রগামী করি। মাটিরাঙ্গা উপজেলায় জ্যেষ্ঠতা তালিকা প্রনয়নে তার সম্পৃক্তার ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে যেভাবে বলা হয়েছে আমি সেভাবে তালিকা তৈরি করেছি। কে বলেছে তালিকা তৈরি করতে তার সদোত্তর দিতে পারেননি তিনি।
চলতি দায়িত্ব প্রদানের বিষয়ে জানতে চাইলে খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন বলেন, এটা মন্ত্রনালয়ের আদেশ, আপনি মন্ত্রনালয়কে জিজ্ঞাসা করেন, মন্ত্রনালয় যেভাবে বলেছে আমরা সেভাবে দিয়েছি। সিনিয়রটি তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান এবং সব জানেন মন্তব্য করে বলেন, না জেনে কি আমরা কাজ করছি? এতো কাঁচা কাজ আমরা করি না।