বুধবার ● ৯ জানুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » লামায় যৌতুকের দাবীতে গৃহবধূকে পাশবিক নির্যাতন
লামায় যৌতুকের দাবীতে গৃহবধূকে পাশবিক নির্যাতন
বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি :: বান্দরবানের লামা পৌরসভা এলাকায় স্বামী ও শাশুড়ির পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে গৃহবধূ জান্নাতুল ফেরদৌস (২১)। আজ বুধবার ৯ জানুয়ারী সকালে লামা পৌরসভার পার্শ্ববর্তী চকরিয়ার বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মাইজপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। গৃহবধূ জান্নাতুল ফেরদৌস বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড পশ্চিম পাড়ার মো. জহিরের মেয়ে বলে জানাগেছে।
কান্না জড়িত অবস্থায় জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, ভোরে তার সন্তান রাফি মণি (১) কান্না করছিল বারবার চেষ্টা করেও সে বাচ্চার কান্না থামাতে পারছিলাম না এসময় শিশুটির কান্নার শব্দে তার স্বামী নাজিম উদ্দিন (২৬) ও শাশুড়ি গোলবাহার বেগমের (৪৯) ঘুম ভেঙ্গে যায়। তারা বিরক্ত হয়ে তাকে খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করে। জান্নাতুল ফেরদৌস প্রতিবাদ করলে ক্ষোভে তার স্বামী নাজিম উদ্দিন ও শাশুড়ি গোলবাহার বেগম দা ও লাঠি দিয়ে মেরে গুরতর জখম করে। তিনি আরো বলেন, লাঠির আঘাতে তার শরীর ফুলে গেছে। ডান হাতের কবজিতে কেটে যায়। তাদের বিবাহের বয়স প্রায় ৩ বছর। তাদের বিয়ের পর থেকে স্বামী নাজিম উদ্দিন ও শশুড়বাড়ির লোকজন যৌতুক দাবী করে অসংখ্য বার তাকে মারধর করেন। এছাড়া সে মদপান করে বিভিন্ন সময় নারীদের লোভে পড়ে নিয়মিত ঘরে আসেনা। তাকে নিয়মিত ভরণপোষণের খরচ দেয়না বলে জানান জান্নাতুল ফেরদৌস।
লামা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শফিউর রহমান মজুমদার বলেন, মেয়েটিকে প্রচন্ড মারধর করা হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে তার ডান হাত, কোমড় ও পিঠের হাড় ভেঙ্গে গেছে। উল্লেখিত স্থান সমূহ এক্সরে করতে তাকে চকরিয়া প্রেরণ করা হয়েছে। ডান হাতে কেটে যাওয়ায় সেখানে সেলাই করতে হয়েছে।
জান্নাতুল ফেরদৌস এর মা হামিদা বেগম বলেন, এর আগেও অনেকবার সামাজিকভাবে বিচার শালিস হয়েছে। সবসময় টাকার দাবীতে সে আমার মেয়েকে নির্যাতন করে আমি এর বিচার চাই।
নাজিম উদ্দিনের জানান, আমার মা বাচ্চার কান্না থামাতে বললে আমার স্ত্রী কান্না থামাচ্ছিলনা এবং এসময় জান্নাত আমার মাকে আমার স্ত্রী ধাক্কা দেয়। এতে আমার রাগ উঠে যায়াতে আমি তখন তাকে মারধর করি।
বমুবিলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতলব বলেন, আমি বেশ কয়েকবার বিচার করেছি। এখন নাজিমকে ডাকলে আসেনা। নিষ্ঠুরভাবে অনেকবার সে মেয়েটিকে মেরেছে।