বুধবার ● ৯ জানুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » নাব্যতা সংকটে কর্মহীন প্রায় ১০ হাজার জেলে
নাব্যতা সংকটে কর্মহীন প্রায় ১০ হাজার জেলে
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: গাইবান্ধা জেলার তিস্তা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি শুকিয়ে গেছে। কিছু কিছু জায়গায় পানি থাকলেও মাছের দেখা মিলছেনা। নদীতে মাছ না পাওয়ার কারনে গাইবান্ধা জেলার প্রায় ১০ হাজার জেলে পরিবার কর্মহীন হয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন।
গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ, সাঘাটা, সাদুল্যাপুর, পলাশবাড়ি ও ফুলছড়ি উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়া শুকিয়ে নদীর বুকে জেগে উঠেছে বালুচর। বর্ষায় কানায়-কানায় পূর্ণ থাকলে এখন চারিদিকে ধূ ধূ বালুচর। ফলে নদীতে নেই পানি। কোথাও কোথাও পানি থাকলেও জাল টানলেও মাছ পাওয়া যায় না। এমনিতেই নদীতে মাছ কমে গেছে। তার উপর নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় জেলেরা হতাশ। বছরের এই কয়েক মাস নদী নির্ভর এসব জেলে পরিবারের জীবন কাটে অনাহারে অর্ধাহারে। তার উপর চাপে ঋণের বোঝা। পরিবারের খাবার সংস্থান করতে না পেরে পুর্ব পুরুষের পেশা ছেড়ে তারা এখন অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন।
ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের জেলে পল্লীর সুকুমার দাস (৪৫) বলেন, এখন নদীতে পানি শুকিয়ে গেছে এখন আর আগের মতো মাছ ধরতে পারি না, সে জন্য এই পেশা ছেড়ে ঢাকা গিয়ে হয়তো অন্য কাজ করে জীবন বাচাঁতে হবে। গজারিয়া ইউনিয়নের জেলে সজিব দাস (৪৮) বলেন, নদীর পানি শুকিয়ে গেলেও নদীর একেকটি জায়গায় গভীর খাদের সৃষ্টি হয়ে সেখানে পানি জমে থাকে। এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা গাছের ডালপালা ফেলে সেই জায়গা দখলে নিয়ে নেওয়ায় জেলেরা মাছ ধরতে পারছে না। সরকারিভাবে সাহায্য সহযোগিতার দরকার বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা মৎস্য কর্মকতা মো. আব্দুদ দাইয়ান জানান, আসলে নদ-নদী বেষ্টিত এলাকা গাইবান্ধা জেলা। এ জেলায় ১৮ হাজার ৫৯৯জন জেলে ইতোমধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধন করা হয়েছে। এসব জেলের নিজস্ব কোন পরিচয় ছিল না। কিন্তু এখন সরকারীভাবে তাদের স্মার্ট কার্ড দেয়া হচ্ছে। খালবিল ও নদী শুকিয়ে যাওয়ায় জেলেরা বেকার হয়েছে। তারা নিজের পেশার পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছে। তবে আগামীদিনে সরকারী সুযোগ সুবিধা পেতে পারেন।