বৃহস্পতিবার ● ১০ জানুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধা-৩ আসনে ঐক্যফ্রন্ট ও বাম জোটের মনোনয়ন প্রত্যাহার
গাইবান্ধা-৩ আসনে ঐক্যফ্রন্ট ও বাম জোটের মনোনয়ন প্রত্যাহার
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ি) আসনে ভোট কারচুপি ও অনিয়মের আশংকা করে আগামী ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্যাপুর) আসনের সংসদ নির্বাচন থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ঐক্যফ্রন্ট সমর্থিত ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মইনুল হাসান সাদিক। বৃহস্পতিবার দুপুরে গাইবান্ধা শহরের সার্কুলার রোডে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মইনুল হাসান সাদিক বলেন, ভোটের আগে ও পরে ৩ দিন ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে, যাতে করে ভোট কারচুপির এসব সংবাদ প্রকাশ না পায়। তিনি আরও বলেন, যে নির্বাচনে ফলাফল পূর্ব নির্ধারিত থাকে। সে কারণে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে আমি আমার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে সংসদ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাংসদ ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম সাজা, শহর বিএনপির সভাপতি শহীদুজ্জামান শহীদ, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান নাদিম, বিএনপি নেতা খন্দকার ওমর ফারুক সেল্যুসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
অপরদিকে, বামগণতান্ত্রিক জোটের ”মই” প্রতিকের প্রার্থী কৃষিবিদ সাদেকুল ইসলাম গোলাপ বৃহস্পতিবার তার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের পর কৃষিবিদ সাদেকুল ইসলাম গোলাপ সাংবাদিকদের জানান, গত ৩০ ডিসেম্বর যে প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে তাতে করে এই সরকারের অধীনে আর কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার কোন রকম সম্ভাবনা নেই। সে কারণে তার দল বাসদ ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি আসন্ন সংসদ নির্বাচন থেকে তিনি তার নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর সারাদেশে একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও গাইবান্ধা ৩ আসনের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ড.টি আই এম ফজলে রাব্বী চৌধুরীর মৃত্যুতে ওইদিন নির্বাচন স্থগিত হয়। পরে আগামি ২৭ জানুয়ারি ভোটের দিন ঠিক করে নির্বাচন কমিশন পুন:তফসিল ঘোষণা করে। আজ বৃহস্পতিবার পুন:তফসিল অনুযায়ি মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল।