মাদ্রাসা ছাত্র খুন : সহপাঠী আটক

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা সদরস্থ ‘জামিয়া ইসলামী দারুল উলূম মাদাদিয়া মাদ্রাসা’র ফজিলত প্রথম বর্ষের ছাত্র সালমান আহমদ (১৮) খুনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার সালমান আহমদের মা কুতুবী বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদেরকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন৷ তবে মামলার লিখিত অভিযোগে নিহত সালমান আহমদের সহপাঠী ও মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম মরহুম মাওলানা আশরাফ আলীর পুত্র মহসিন উদ্দিন নাইমকে সন্দেহভাজন অভিযুক্ত হিসেবে উলেস্নখ করা হয়েছে৷
এদিকে বুধবার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা পুলিশ নাইমকে আটক করে ছিল৷ বৃহস্পতিবার তাঁকে (নাইম) আদালতে প্রেরণ করা হয়৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত সালমান ও আটককৃত নাইমের মধ্যে গভীর বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক ছিল৷ তবে মঙ্গলবার সকালে কোন একটি বিষয় নিয়ে সালমান ও নাইমের মধ্যে ব্যাপক বাগবিতন্ড হয়৷ বিকেলে তাঁদেরই সহপাঠীদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মিমাংশও হয়৷ পরবর্তিতে রাতে নাইমই সর্বশেষ মাদ্রাসা থেকে সালমানকে ডেকে বাইরে আনে বলে এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে৷ আর পরের দিন বুধবার সকালে উপজেলার নতুন বাজারস্থ তফজ্জুল আলী কমপ্লেক্সে সামন থেকে সালমানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ৷
প্রসঙ্গত, নিহত সালমান আহমদ (১৮) সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় পূর্বগাঁও গ্রামের ছুটন মিয়ার পুত্র৷ সে বিগত চার বছর ধরে ‘জামিয়া ইসলামী দারম্নল উলূম মাদাদিয়া মাদ্রাসা’র বোডিং-এ থেকে লেখাপড়া করে আসছে৷ ৩০ ডিসেম্বের বুধবার সকালে উপজেলার নতুন বাজারস্থ তফজ্জুল আলী কমপ্লেক্সে সামন থেকে সালমানের লাশ পরে থাকতে দেখে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করেন এলাকাবাসী৷ পরবর্তিতে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে৷
মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা শিবি্বর আহমদ সাংবাদিক কে বলেন, আমরা চাই পুলিশ সালমান হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসুক৷ তবে এঘটনায় যাতে কোন নিরপরাধী যাতে কোন প্রকারের হয়রাণীর স্বীকার না হন সে দিকে সবাইকে লক্ষ রাখতে হবে৷
মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানা ওসি (তদন্ত) মাসুদুর রহমান বলেন, ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটনের জন্য তদন্ত চলছে৷ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে৷ কাউকে এব্যাপারে হয়রাণী করা হবে না৷