রবিবার ● ১৩ জানুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » সেনা সদস্যদের সহায়তায় চাঁদাবাজ শওকত আটক : জনগনের মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাস
সেনা সদস্যদের সহায়তায় চাঁদাবাজ শওকত আটক : জনগনের মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাস
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় মো. শওকত আকবর (৩৮),পিতা মো. সামছুদ্দিন মাষ্টার নামে এক চাঁদাবাজকে সেনা সদস্য ও মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের সহায়তায় আটক করা হয়েছে। আটককৃত এই চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে গতকাল ১২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মাটিরাঙ্গা থানায় চাঁদাবাজির অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের হয়। যাহার মাটিরাঙ্গা থানার মামলা নং-৪,ধাারা ৩৮৫/৩৮৬/৫০৬ পেনাল কোড।
এ দিকে অভিযুক্ত কু:খ্যাত চাঁদাবাজ ও সাধারণ মানুষের মাঝে ভয়ভীতি প্রদর্শনকারী মো. শওকত আকবরকে আটকের খবরে শুনে সেনাবাহিনী কর্তৃক সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে এমন পদক্ষেপের প্রশংসা করে এলাকাবাসী ও বাজার ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেনি পেশার মানুষ । এ খবরে নিরীহ মানুষ স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলার খবর পাওয়া গেছে মাটিরাঙ্গা শহর জুড়ে।
অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায় যে, মাটিরাঙ্গা কলা বাজারস্থ মজুমদার টেলিকম এর সামনে ১২ জানুয়ারি ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫ মিনিটের দিকে ঢাকা মেট্রো-ট-১৬-৪৫৪৪ এর চালক জনৈক আবু তাহের ড্রাইভার,তার ট্রাকে মো. মাহবুব আলম (কলা ব্যবসায়ী)‘র কলা বোঝাই ও মো: মকবুল হোসেন বাবুল ড্রাইভার এর ট্রাকে মাল বোঝাই করে ঢাকা উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে মো. শওকত আকবরের তার সহযোগিরা মিলে গাড়ীর গতিরোধ করে। এবং মাটিরাঙ্গা ট্রাক ও মিনিট্রাক মালিক সমিতি লিঃ রেজি:নং-২০/খাগড়া,তারিখ ১৯/০৬/২০১৭ইং,নামীয় ১০০ টাকার ২টি রশিদ দিয়ে মোট ২০০ টাকা চাঁদা দাবি করে। চালকদ্বয় চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে চাঁদাবাজ মো: শওকত আকবরের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় চালকদের চাঁদা না দিলে প্রাণে মেরে লাশ গুম করার ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে জোর পুর্বক শওকত আকবর ছিনিয়ে নেয়। ঠিক তখনি সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসিয়া চাঁদাবাজ শওকত আকবর‘কে আটক করে। সেনাবাহিনী উপস্থিতি টের পেয়ে অপর দুই জন চাঁদাবাজ পালিয়ে যায়। তখন মাটিরাঙ্গা থানার এএস আই মো. আশেকুর রহমান উপস্থিত স্বাক্ষীগনের সামনে আটককৃত চাঁদাবাজ মো: শওকত আকবরের দেহ তল্লাশী করে প্যান্টের ডান পকেট থেকে
চালকদের কাছ থেকে নেয়া ১০০ টাকার ২টি নোট ,ট্রাক সমিতির নামের ১০১ নং হইতে ২০০নং পর্যন্ত তন্মধ্যে ১২টি রশিদের গ্রহন কপি পাওয়া যায়নি। চালকের নিকট হইতে রশিদ নং-১১১ ও ১১০ প্রাপ্ত হই। যাহা মো. শওকত দিয়েছিল চালকদের।
এ বিষয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গসহ চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠায় প্রায় দেড় বছর আগে তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। আবার যদি সে একই অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে গ্রেফতার হয় । সেটা তার নিজের বিষয়। বহিস্কৃত ব্যক্তি সম্পর্কে দলের কোন বক্তব্য নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মো. শামছুল হক বলেন, সে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বা সহযোগী কোন সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত নয়। চাঁদাবাজির বিষয়টি একান্ত তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
এ বিষয়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন পিপিএম বলেন,তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা রুজ্জু করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।