সোমবার ● ১৪ জানুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » অপারেশনের ২৮ দিন পর পেট থেকে বের হলো রক্তমাখা কাপড়ের টুকরো
অপারেশনের ২৮ দিন পর পেট থেকে বের হলো রক্তমাখা কাপড়ের টুকরো
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে অপারেশন করার ২৮ দিন পর রুগীর পেটের মধ্যে রাখা রক্ত পরিষ্কার করা কাপড়ের টুকরা পাওয়া গেছে।
গত বৃহস্পতিবার কালীগঞ্জ উপজেলার রায়গ্রাম ইউনিয়নের ভাটাডাঙ্গা গ্রামের মোশারেফ হোসেনের স্ত্রী চামেলী (২৭) খাতুনের পেট থেকে এই কাপড়ের টুকরা অপাশেনের মাধ্যমে বের করেন ঝিনাইদহ শহরে প্রাইম হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসক ডাঃ মাছুদুল হক।
যা দেখে ডাক্তার নিজেই হতবাক হয়ে পড়েন। চামেলীর স্বামী মোশারফ হোসেন জানান, গত ডিসেম্বর মাসের ১৩ তারিখে কালীগঞ্জ বাসস্টান্ডের ফাতেম প্রাইভেট হাসপাতালে আমার স্ত্রীর সিজার করা হয়।
আব্দুল্লাহ কাফি নামে এক চিকিৎসক চামেলিকে সিজার করেন। সিজার করে একটি মেয়ে শিশুর জন্ম হয়। তারপর আমরা তাকে বাড়ী নিয়ে যাই।
কিন্তুু আমার স্ত্রী সুস্থ্য হয় না। পুনরায় আমারা ঐ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করি কিন্তুু ৭৫ হাজার টাকা খরচ করার পরও রোগী সুস্থ হওয়া না দেখে গত ৮ জানুয়ারী ফাতেমা হাসপাতাল থেকে আমাদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
সদর হাসপাতালের ডাক্তাররা রোগীর অবস্থা ভাল না বলে ছাড়পত্র দিয়ে দেয়। স্বামী মোশাররফ জানান, এই অবস্থায় আমার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে ঝিনাইদহ প্রাইম হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করি। চিকিৎসক অপারেশন করার পর রোগীর পেটের মধ্যে রক্ত পরিষ্কার করা কাপড়ের টুকরা (মফ) বের করে।
একই সাথে প্রায় ২ কজি মত দুর্গন্ধযুক্ত পুজ রক্ত বের করা হয়। অপারেশনকারী ডাঃ মাছুদুল হকের সাথে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন চামেলির পেটের মধ্যে মফ পাওয়া গেছে। তিনি বলেন কালীগঞ্জের ফাতেমা ক্লিনিকে যে ডাক্তার অপারেশন করেছিল তিনি হয়তো ভুল বসত এই মফ রেখে সেলাই করে দেন।
কালীগঞ্জের ফাতেম প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক একরামুল হকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা তো রোগী সুস্থ করেই বাড়ি পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু বাড়িতে রোগী ঠিকমত ওষুধ সেবন না করায় তার ইউট্রাস ইনফেকশন হয়। চামেলীকে অপারশেনকারী ডাক্তার আব্দুল্লাহ কাফী জানান, আমি কালীগঞ্জে অনেক দিন অপারেশন করিনি।
অনেক সময় কালীগঞ্জের ক্লিনিক মালিকরা অপকর্ম এ ধরণের অপকর্ম করে আমার নাম বলে চালিয়ে দেয়। এই প্রসঙ্গে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন রাশেদা সুলতানা বলেন ঘটনা আমি জানি না। তবে পেটের মধ্যে যদি গজ পাওযার ঘটনা সত্য হয় তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।