সোমবার ● ১৪ জানুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » খাগড়াছড়িতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিক নুরুল আজম গ্রেপ্তার
খাগড়াছড়িতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিক নুরুল আজম গ্রেপ্তার
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি নুরুল আজমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার ১৪ জানুয়ারী বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে দুপুরে সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ের নিচ থেকে নুরুল আজমকে আটক করা হয়।
খাগড়াছড়ির সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওনক আলম সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৯ ও ৩১ ধারায় দায়ের করা মামলায় নুরুল আজমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেঁজুতি জান্নাতের আদালতে তাকে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক বায়েছ ইসলাম ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। আদালত রিমান্ড শুনানী না করে সাংবাদিক নুরুল আজমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
সাংবাদিক নুরুল আজমের স্ত্রী ফারজানা আজম সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে সাংবাদিক জীতেন বড়ুয়া তার স্ত্রীকে দিয়ে হয়রানি করার লক্ষ্যে অভিযোগ দায়ের করেছে। আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে এঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।
এঘটনায় খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি সৈকত দেওয়ান ও সাধারণ সম্পাদক কানন আচার্য সাংবাদিক নুরুল আজমকে নিন্দা জানিয়ে সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, মামলা দায়ের মাত্র আধঘন্টার মধ্যে কোন প্রকার তদন্ত ছাড়া অফিসের সামনে থেকে জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার ঘটনায় সাংবাদিকরা শঙ্কিত। আমরা প্রধানমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রীর কাছে এঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানায়।
সাংবাদিক নুরুল আজম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ও এসএটিভি’র খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।
এছাড়া সাংবাদিক নুরুল আজমকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় জেলার বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃত সাংবাদিক নেতা নুরুল আজম গত ১৮ সেপ্টেম্বর জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের আহ্বানে আয়োজিত মত বিনিময় সভায় দুইজন উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে ধরেছিলেন। নুরুল আজমের স্বজনরা অভিযোগ করেন, এরপর থেকেই পুলিশের ওই কর্মকর্তারা সাংবাদিক নুরুল আজমের পরিবারকে নানাভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা করে আসছে।