বুধবার ● ১৬ জানুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী বাসিংথুয়াই মারমার প্রস্তুতি
রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী বাসিংথুয়াই মারমার প্রস্তুতি
রুমা (বান্দরবান) প্রতিনিধি :: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার দেশ জুড়ে আলোচিত বিষয় পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচন কমিশন (ইসি) এর ঘোষণা অনুযায়ী আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে বিভাগ ওয়ারী ধাপে ধাপে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। পূর্বের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নির্দলীয় ভাবে হলেও এবার আইনটি সংশোধিত হওয়ায় দলীয় প্রতীকে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন হবে। মার্চে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়টি ইসি সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ এর ঘোষণার পর রুমা উপজেলায় নির্বাচনের আমেজ ইতিমধ্যেই পরিলক্ষিত হতে শুরু করেছে। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের একাধিক প্রথম সারির নেতা। আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন রুমা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উহ্লাচিং মারমা, উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান শৈমং মারমা ওরফে শৈবং এবং বান্দরবান জর্জ কোর্টের সহকারী প্রসিকিউটর ও বান্দরবান জেলা পরিষদের আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট বাসিংথুয়াই মারমা। অপরদিকে জাতীয় নির্বাচনে ব্যাপক ভরাডুবির পর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে উপজেলা বিএনপিতে নেই কোন চাঞ্চল্য।
অ্যাডভোকেট বাসিংথুয়াই মারমা রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে একজন সম্ভাব্য প্রার্থী, তিনি উপজেলায় একজন প্রগতিশীল শিক্ষা সচেতন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত মুখ। তিনি মনে করেন প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তৃণমূল পর্যায়ের নেতৃদের মতামতকেই প্রাধান্য দেয়া হবে। দলীয় মনোনয়নের বেলায় প্রার্থীতার যোগ্যতা, সাংগঠনিক দক্ষতা, জনগণের কাছে গ্রহণ যোগ্যতা এবং অন্যান্য সকল বিষয় বিবেচনায় রেখে দলের নেতাকর্মী ও নীতিনির্ধারকরা তাকে যথার্থ মূল্যায়ন করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচিত হলে উপজেলার সদর এলাকা এবং গ্রাম এলাকা নির্বিশেষে সমান উন্নয়নে মনোযোগ দেবেন। তার উন্নয়ন পরিকল্পনার মধ্যে অগ্রাধীকার ভিত্তিক কার্যসূচীর মধ্যে রয়েছে পঞ্চম বার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী মাননীয় মন্ত্রী বীর বাহাদূর উশৈসিং এর প্রকল্প বাস্তবায়ন করা, এলাকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি এবং বেকার সমস্যা দূরীকরণকে প্রধান্য দেয়া, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রেখে এলাকার বিভিন্ন জাতি ধর্ম ও বর্ণের মানুষের মধ্যে সমান সুযোগ ও অধিকার নিয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করা। এছাড়া এলাকায় বেকার সমস্যা নিরসনে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা এবং নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করার ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।