শুক্রবার ● ১৮ জানুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » কৃষি » মধু সংগ্রহে ব্যস্ত আক্কেলপুরে মৌ চাষিরা
মধু সংগ্রহে ব্যস্ত আক্কেলপুরে মৌ চাষিরা
আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) :: জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার সরিষার জমির পাশে মৌবক্স স্থাপনের মাধ্যমে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌচাষীরা। পাশাপাশি মৌ চাষিদের পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা করছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। উপজেলার ভিকনি ও হরিপুরে স্থাপনকৃত ৩০০টি মৌবক্স থেকে ২.৫ টন মণ মধু সংগ্রহের আশা করছেন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ।
মধু সেবন মানব দেহের জন্য বেশ উপকারী ও ওষুধী গুণাগুণ সমৃদ্ধ হওয়ায় বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা থাকে। তার মধ্যে নির্ভেজাল মধুপ্রেমীর সংখ্যা আরো বেশি।
এ ছাড়াও সরিষার পরাগায়নের জন্য মৌমাছি বড় ধরনের নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। মৌমাছির মধু সংগ্রহের মাধ্যমে শতকরা ২০-৩০ ভাগ পর্যন্ত পরাগায়ন বৃদ্ধি পায় এবং সরিষার ফলনও ভাল হয়।
স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ বিশেষ কার্যক্রমের আওতায় মৌচাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত মৌয়ালীদের সার্বিক সহায়তা প্রদান করছে। কৃষকদের জমির পাশে মৌবক্স স্থাপন ও নিরাপত্তা প্রদানে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।
সদর উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের ভিকনী গ্রামের মধু চাষি আনোয়ার হোসেন ও হরিপুর গ্রামের তাহের আলী সরিষা জমির পাশে ৩০০টি মৌবক্স স্থাপন ও মধু সংগ্রহ কার্যক্রম চলছে। একটি মৌমাছি ৩-৪ কিলোমিটার পর্যন্ত গিয়ে মধু সংগ্রহ করে থাকে।
এদিকে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুরে মৌবক্স স্থাপনের মাধ্যমে সরিষার ফুল থেকে আগামী ২০ দিনের মধ্যে প্রায় ২.৫ টন মধু সংগ্রহ করা সম্ভব হবে বলে জানান মৌচাষী আনোয়ার হোসেন ও তাহের আলী।
এব্যপারে উপ-সহকারি কর্মকর্তা আবুবক্কর সিদ্দিক বলেন, মৌ-মাছির বংশ বিস্তার মধু সংগ্রহ ও ফ্রেম থেকে মোম পাওয়া যায় তা সবই বিক্রি করা যায়। যার ফলে মৌ-চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। সরিষা ফুলের মধু যেমন খাঁটি তেমনি সুস্বাদু। মানের দিক থেকেও উন্নত হয়। এ মৌসুমে মধুর চাহিদাও বেশি থাকে। আবহাওয়া ভালো থাকলে মধু উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন, সরিষা থেকে মৌমাছির মাধ্যমে মধু সংগ্রহের জন্য আমরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা প্রদাণ করছি। মৌমাছি শুধু মধু সংগ্রহ নয়, মধু সংগ্রহের পাশাপাশি পরাগায়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এতে করে সরিষার ফলনও বৃদ্ধি পায়। স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত এই নির্ভেজাল মধু ৩০০-৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে তারা লাভবানও হচ্ছে বলে জানান তিনি।