রবিবার ● ২০ জানুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বাকৃবি’তে গবেষণা কর্মের জন্য ১১ শিক্ষককে সম্মাননা
বাকৃবি’তে গবেষণা কর্মের জন্য ১১ শিক্ষককে সম্মাননা
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) দুই দিনব্যাপী গবেষণা অগ্রগতি বিষয়ক কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ জন শিক্ষককে গবেষণা কর্মের জন্য ‘গ্লোবাল রিসার্চ ইম্প্যাক্ট রিকগনাইজেশন অ্যাওয়ার্ড’ দিয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস) শিক্ষকদের গবেষণা কর্ম ও এইচ-ইনডেক্স মানের ওপর ভিত্তি করে এ পুরস্কার প্রদান করে থাকে। এছাড়াও কৃষিজ পণ্য উৎপাদনে বিশেষ অবদান রাখার জন্য খামার পর্যায়ের ছয়জন কৃষককে ‘প্রফেসর ড. আশরাফ আলী খান স্মৃতি কৃষি পুরস্কার-২০১৯’ দেওয়া হয়।
শনিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় বাকৃবি’র সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন ভবনে দুই দিনব্যাপি এ কর্মশালার আয়োজন করে বাউরেস।
গবেষণা কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. এম.এ.এম. ইয়াহিয়া খন্দকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান।
প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চয়ারম্যান বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে কৃষি, শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়ন এই তিনটি ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়ছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র কৃষি ক্ষেত্রেই মিরাকল পরিবর্তন হয়েছে। এই পরিবর্তনের প্রকৃত নায়ক হচ্ছেন কৃষকেরা। আর কৃষকদের এই সফলতার পিছনে জাদুর কাঠি নিয়ে ঘুরছেন গবেষকেরা।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার সমসাময়িক সময়ে বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থায় সম্পূর্ণরূপে প্রকৃতির উপর নির্ভর করতো। স্বাধীনতার পূর্বে প্রয়োজনের দুই তৃতীয়াংশ খাদ্যশস্য উৎপাদিত হতো। বর্তমানে উৎপাদনে আমাদের উৎপাদন তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে যার ফলে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি।
অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আলী আকবর। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ জসিম উদ্দিন খান, বাংলাদেশের ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচারাল অরগানাইজেশনের (এফএও) প্রতিনিধি রবার্ট ডগলাস সিম্পসন, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) নির্বাহী পরিচালক ড. ওয়ায়েস কবীর।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি ভেন্যুতে মোট ১৫টি (১৩টি মৌখিক ও ২টি পোস্টার) টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি সেশন থেকে একজন করে মোট ১৩ জনকে সেরা মৌখিক প্রেজেন্টার ও ছয়জনকে সেরা পোস্টার প্রেজেন্টার হিসেবে পুরস্কৃত করা হবে।
উল্লেখ্য,১৯৮৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৩৪৯টি গবেষণা প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করেছে বাউরেস। বর্তমানে ৫৩৬টি গবেষণা প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০০টি গবেষণা প্রকল্পের ফলাফল ওই কর্মশালায় প্রকাশ করা হবে।