সোমবার ● ২১ জানুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় নিয়মনীতি উপেক্ষা করে লাইসেন্স বিহীন ইটভাটাতে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ
গাইবান্ধায় নিয়মনীতি উপেক্ষা করে লাইসেন্স বিহীন ইটভাটাতে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: ড্রামসীটের চিমনির ধোঁয়ায় পরিবেশ ধুষিত হয় বলে বেশি উচ্চতার ইটের চিমনি বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। সরকারের এ নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাইবান্ধায় অনেক ইটভাটার মালিক এ আদেশ মানছে না। এখনও অল্প উচ্চতার ড্রামসীটের চিমনি ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। ফলে কালো ধোঁয়ায় কারনে পরিবেশ বিপন্ন হয়ে পড়ছে।
গাইবান্ধায় প্রতিবছরই ইটভাটার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু এসব ভাটা স্থাপনে লাইসেন্স গ্রহণের কথা থাকলেও ইটভাটা মালিকেরা আমলে নিচ্ছে না। এভাবে ইটেরভাটা স্থাপন করা হলেও কোন পদক্ষেপই নেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে। গত দুই এক বছরের মধ্যে ২/১ টি অবৈধ ইটভাটায় জরিমানা করা হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অজ্ঞাত কারণ দেখিয়ে নিচ্চুপ থাকছে প্রশাসন।
তথ্যে জানা গেছে, ২০১৭ সালে তিনটি অবৈধ ইটভাটা মালিকের কাছ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ২০১৬ সালে কারো কোন জরিমানা করা হয়নি। তবে ২০১৫ সালে অবৈধ ইটভাটা মালিকদের কাছে জরিমানা আদায় করা হয় ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। এধরণের ২/১ টি ঘটনা ঘটলেও আর বেশিকিছু করা হয়নি। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ি পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন ইটভাটা স্থাপনের লাইসেন্স প্রদান করে থাকেন। কিন্তু গাইবান্ধার কোন ইটভাটা মালিকই এসব শর্ত মানছে না।
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধায় গত ৩ বছরে মাত্র ২৭টি ইটভাটা মালিককে লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে আগামী ২০২১ সাল পর্যন্ত ১৮টি ইটভাটার লাইসেন্সের মেয়াদ রয়েছে। বাকি ৯টির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও ওই ইটভাটা মালিকরা তা আর নবায়ন করেননি। প্রশাসনের একটি সুত্র জানিয়েছে, বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ি এ পর্যন্ত জেলায় ১০১টি ইট ভাটা স্থাপন করা হয়েছে। আয় কর বিভাগের সুত্রে জানা গেছে, গত বছর তিনি অনুসন্ধান চালিয়ে দেখেছেন জেলার বিভিন্ন স্থানে ১৮৫টি ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। এরমধ্যে ড্রামসীটের চিমনির ইটভাটাও রয়েছে কয়েকটি। তিনি বলেন, এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে কেউ কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এমনি একটি ড্রামসীটের চিমনির ইটভাটা রয়েছে সদর উপজেলার বল্ল¬মঝাড় ইউনিয়নের সাহারবাজার সংলগ্ন কাঁশদহ গ্রামে।
জেলা ইটভাটা মালিকের সভাপতি আব্দুল লতিফ হক্কানী সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, তিনি অবৈধ ইটভাটার মালিকদের সভাপতি নন। তিনিও বলেন, অবৈধভাবে ইটভাটা স্থাপন করার ক্ষেত্রে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় এ ধরণের ইটভাটার সংখ্যা বাড়ছে।