সোমবার ● ২১ জানুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বোরকা পরে স্ত্রী’র পরীক্ষাকেন্দ্র্রে গিয়ে নিজের ভুলে ধরা খেলো স্বামী
বোরকা পরে স্ত্রী’র পরীক্ষাকেন্দ্র্রে গিয়ে নিজের ভুলে ধরা খেলো স্বামী
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি ::ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজ কেন্দ্রে বোরকা পরে স্ত্রী’র পরীক্ষাকেন্দ্র্রে গিয়ে নিজের ভুলে ডিবি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে আটক হলেন স্বামী মাহমুদুল হাসান (২৭)। আটককৃত মাহমুদুল হাসান জামালপুরের আইবিএ কলেজের করণিক এবং বাড়ি শেরপুর জেলায়।
আজ সোমবার (২১ জানুয়ারি) সকালে আনন্দমোহন কলেজ কেন্দ্র এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা ডিবি কার্যালয়ে আটকৃত মাহমুদুল হাসান জিজ্ঞাসাবাদের মুখে স্ববিস্তারে সব কিছু খুলে বলেন।
আটককৃতের বরাত দিয়ে ডিবি পুলিশ সূত্র জানায়, শেরপুর জেলার মাহমুদুল হাসান (২৭) প্রায় সাত বছর প্রেমের পর জুলেখা খাতুন (২৫)কে বিয়ে করেন। এরপর বেশ ভালোভাবেই চলছিলো তাদের সংসার। হঠাৎ একটি মোবাইল ফোনের কলে বিপত্তি ঘটে তাদের সংসারে। স্বামী মাহমুদুল সন্দেহের চোখে দেখতে থাকেন স্ত্রী জুলেখাকে।
কিন্তু স্ত্রী’ জুলেখা খাতুনের অনার্স মৌখিক পরীক্ষা থাকায় আজ সোমবার সকালে একসঙ্গে ট্রেনচেপে জামালপুর থেকে দু’জনে ময়মনসিংহ শহরে আসেন এবং রিকশায় করে স্ত্রীকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজ গেইটে নামিয়ে দেন।
এরপর স্ত্রী পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকলেও সেখানে কী করছেন, কার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলছেন এসব সন্দেহ হওয়ায় বাইরের দোকান থেকে বোরকা কিনে ছদ্মবেশে সেখানে প্রবেশ করেন মাহমুদুল। তারপর প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বোরকা পরেই পুরুষের বাথরুমে ডুকে যান। কিন্তুু বোরকা পরে পুরুষের বাথরুম থেকে নারী বের হওয়ায় বিষয়টি সন্দেহ হয় কলেজ কর্তৃপক্ষের। অতঃপর কলেজ কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর পাঠালে পুলিশ তাকে আটক করে। সেখান থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এসে আবিষ্কার করে বোরকা পরিহিত নারী নয়, পুরুষ। পরে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর এসব তথ্য নিজের মুখেই পুলিশের কাছে তুলে ধরেন মাহমুদুল হাসান।
ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ কামাল জানান, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে বোরকা পরে ছদ্মবেশে কলেজে প্রবেশের ঘটনাটি আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন মাহমুদুল হাসান।
এরপরও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কথা বলা হচ্ছে তার স্ত্রী জুলেখা খাতুনের সঙ্গেও। তারা দু’জনেই আমাদের হেফাজতে রয়েছেন। তাদের মোবাইল ফোনও ট্র্যাক করা হচ্ছে। এরপর তাদের অভিভাবকদের ডেকে এনে তাদের সঙ্গেও কথা বলা হবে জানান ডিবি পুলিশের ওসি।