বুধবার ● ২৩ জানুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ময়মনসিংহে শিক্ষক লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে থানা ঘেরাও : ভাংচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আহত-১৫
ময়মনসিংহে শিক্ষক লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে থানা ঘেরাও : ভাংচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আহত-১৫
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :: ময়মনসিংহের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের শিক্ষক শেখ শরিফুল আলমকে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করে হামলা ও ভাংচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ সময় পরিস্থিতি সামাল দিয়ে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে পুলিশ। এতে ৫ পুলিশসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরে আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে নগরীর জিলাস্কুল মোড়ে নগরীর শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের ইংরেজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শেখ মো. শরীফুল আলমের প্রাইভেটকারের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কা লাগে। এনিয়ে বাকবিতন্ডা হলে ট্রাফিক পুলিশ এগিয়ে আসে। এই ঘটনা সমাধানে সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য আসলাম হোসেন এগিয়ে এলে শিক্ষকের সাথে পুলিশ সদস্যের বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ওই শিক্ষককে নগরীর ২ নং পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আটক করা হয়।
পরে এই খবর কলেজে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ কয়েকশ শিক্ষার্থী প্রথমে টাউন হল মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে। এরপর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কোতোয়ালি মডেল থানা ঘেরাও করে থানার কাঁচের জানালা ও দরজায় ভাংচুর চালায়। তখন তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেলও নিক্ষেপ করে। এসময় পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৪/৬ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। এতে কমপক্ষে ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। সংঘর্ষে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরে ঘটনাস্থল থেকে ৩ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন, তানজিল ইসলাম ও এসএম শাহরিয়ার।
এবিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি-তদন্ত) মনসুর আহমেদ জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আলোচনা চলছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খবর পেয়ে হাসপাতাল ও কলেজ পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস ও পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, এ ঘটনায় আমরা একটি তদন্ত কমিটি করছি। এর পেছনে অন্য কিছু আছে কী না তা খতিয়ে দেখা হবে।
এ বিষয়ে কলেজটির অধ্যক্ষ ড. এ. কে.এম আবদুর রফিক সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, ইতোমধ্যে ঘটনাটি শান্তিপূর্ণ মিমাংসা হয়েছে। আহত ছাত্রদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।