শনিবার ● ২৬ জানুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » নবীগঞ্জ শহরের প্রধান সড়কে তীব্র যানজট : ভুগান্তিতে সাধারন মানুষ
নবীগঞ্জ শহরের প্রধান সড়কে তীব্র যানজট : ভুগান্তিতে সাধারন মানুষ
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :: নবীগঞ্জ শহরের ভিতরের মুল সড়কে যত্রতত্র বাস ও সিএনজি, ট্রাক দাড় করিয়ে যাত্রী-ও মালামাল উঠানামা করার কারনে যানজট এখন শহরবাসীর নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাড়িয়েছে। নির্ধারিত স্থানে কাচামালের দোকানের জন্য ব্যবস্থা থাকলেও তারা সড়কের উপর দোকান পেতে ব্যবসা করছেন। রাস্তার উপর বাস ,সিএনজি-ট্রাক দাড় করিয়ে যাত্রী ও মালামাল উঠা নামা করে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। যানজটের পাশাপাশি পৌর শহরে পানি নিস্কাশন ও ময়লা আবর্জনা পরিস্কারের সুষ্টু ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা মৌসুমে অতি বৃষ্টির ফলে জমে থাকা আবর্জনার স্তুপ পচেঁ দুগন্ধের সৃষ্টি হয়। শহরের মধ্যে পানি নিষ্কাশনের কোনো সুষ্টু ব্যবস্থা নেই। এতে করে আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ থাকছে পৌর পরিষদ ও প্রশাসনের কার্যকরীতা এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। শহরের নতুন বাজার আব্দুল মতিন চৌধুরী স্কোয়ার, ওসমানী সড়ক, জে-কে স্কুল রোডের উপর কাচাঁমালের হাট বসে। ফলে রিক্সা নিয়ে চলাচলে সমস্যা পোহাতে হয় সাধারন জনগনকে। নতুন বাজার এলাকায় ওয়ান বাই রোড থাকলেও কোন যানবাহনের ড্রাইভার তা পালন করেন না। পৌর শহরে নেই কোনো গন শৌচাগার। পৌর শহরের কাচামাল হাটের নির্মান কাজ শেষ হলেও সে কাচামাল হাট ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করেন না। নির্ধারিত হাট বাজারের দিন নবীগঞ্জ শহরের মধ্যে যত্রতত্র বসে দোকান-পাট। ফলে সাধারন মানুষদের চলাচলে মারাতœক সমস্যার সৃষ্টি হয়। নবীগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জ গামী বাস শহরের নতুন বাজার গাজীর টেক(আব্দুল মতিন চৌধুরী) স্কোয়ার ট্রাফিক পয়েন্টে রাস্তার উপর দাড়িয়ে যাত্রী উঠা-নামা করায় ফলে সারাক্ষন লেগে থাকে তীব্র যানজট। নবীগঞ্জ বাজার থেকে সরকার প্রতি বছর লাখ-লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হলেও দৈন্য দশার হয়না কোনো সমাধান। শহরের নতুন বাজার এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে কাচামালের বাজার। ফলে সড়কের পার্শ্বে কোনো জায়গা না থাকায় গাড়িগুলো সড়কের উপর দাড়িয়ে যাত্রী উঠা নামায় লেগে থাকে যানজট। নবীগঞ্জ পৌর শহরের সালামত পুর নতুন বাস ষ্টেশন নির্মান হলেও ঐ বাস ষ্টেশন নামে আছে কাজে নেই।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কাচামাল ব্যবসায়ী জানান আমাদের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান করা হলে আমরা চলে গেলে সেখানে সারাদিন বসে ব্যবসা করতে পারবো। আমরা অস্থায়ী জায়গায় যেতে চাই না। ব্যবসায়ী মুশাহিদ মিয়া বলেন বাজারের যান সমস্যার সমাধান সহ চাই সার্বিক উন্নয়ন। যানজটে আটকে পড়া আজির চৌধুরী নামে এক সিএনজি যাত্রী জানান, নেতাদের ভোট হারানোর ভয়ে যানজট ও অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদে তারা কোনো ধরণের উদ্যোগী ও ভূমিকা রাখছেন না। শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, বিশেষ করে শেরপুর রোডের মনাই লালের লিপি ট্রেডার্স ধানের আড়ৎ ও অবণী দাশের মেসার্স অবণী ট্রেডার্স ধানের আড়ৎ ও ওসমানী রোডের ঠেকাদিঘীর ধান চাউলের আড়ৎ। এই তিনটি আড়তে মেইন রাস্তায় ট্রাক দাড় করিয়ে প্রতিদিন একটার পর একটা গাড়ী ধান চাল লোড আনলোড করে। এ কারনে মুলত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়াও থানার পয়েন্ট, ওসমানী রোড (উত্তরা ব্যংকের সামন), হাসপাতাল সড়কের খালিক মঞ্জিলের সামন, হাসপাতালের গেইটের নিকট, শেরপুর রোডের রাজা কমপ্লেক্সের সামন, শেরপুর রোডের বাংলা টাউনস্থ ইসলামী ব্যংকের সামন, রুদ্রগ্রাম রোডের সোনার খনি-ব্রীজ পর্যন্ত, এছাড়াও শহরের নতুন বাজার মোড়, প্রায় সময়ই প্রধান সড়কের উপর দাড়ানো থাকে সারি সারি ছোট বড় যানবাহন। এসময় পথচারীদের চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। সাধারন মানুষ রিক্সায় যাওয়াতো দুরের কথা রাস্তায় পায়ে হেঠে যাওয়াই দায় হয়ে যায়। আইনশৃংখলা মিটিংয়ে যানজট সমাধানে একাধিক বার তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও পৌর কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের নীরবতায় হতাশা দেখা দিয়েছে জনসাধারনের মাঝে। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী বলেন, নবীগঞ্জ শহরের যানজট স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা চলছে। নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ বিন হাসান বলেন, শীঘ্রই যানজট নিরসনের জন্য ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে অপসারন করা হবে।